বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর প্রথম যা বললেন রোহিত

ঘরের মাঠে খেলা শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য ভারত টানা ১০ ম্যাচে অপরাজিত থেকেছে। টুর্নামেন্টে একমাত্র পরাজয় এসেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সত্ত্বেও, টিম ইন্ডিয়ার ৬ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় শিরোপার স্বপ্ন ভেস্তে গেল। শিরোপা হারিয়ে ড্রেসিংরুমে কান্নায় ভেঙে পড়েন রোহিত-কোহলিরা। ভারতীয় সমর্থকদের মন ভেঙে গেল।
বিশ্বকাপ হারের ২৪ দিন পর ফাইনাল হারের কথা বললেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। রোহিতের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অধিনায়কের চার মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে, ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে হারের কথা বলছেন।
রোহিত শর্মা বলেন, ‘হারের শোক সামলে কীভাবে মূলস্রোতে ফেরা সম্ভব, তা আমার জানা নেই। কী করব, সেটাও বুঝতে পারিনি। আমার পরিবার এবং বন্ধুরা আমাকে সাহায্য করেছিল এগিয়ে চলার জন্য। সব কিছু হালকা করার চেষ্টা করে গিয়েছে। সেই হার হজম করা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু জীবন এগিয়ে চলে। এগিয়ে যেতে হয়। সত্যি কথা বলতে কী, এগিয়ে চলা মোটেও সহজ ছিল না। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ দেখে বেড়ে উঠেছি। আমার মতে চ্যাম্পিয়ন হলে সেরা পুরস্কার পেতাম। বিশ্বকাপের জন্যই এতগুলো বছর পরিশ্রম করেছি আমরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যদি সাফল্য পাওয়া না যায়, তাহলে হতাশই হতে হয়।’
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছিল ভারতকে। ব্যাটিং-বোলিং কিংবা ফিল্ডিং সব বিভাগেই দারুণ ছন্দে ছিলেন দলটির ক্রিকেটাররা। কিন্তু শিরোপার মঞ্চে মুখ থুবড়ে পড়ে স্বাগতিকরা। রোহিত বলেন, ‘আমাদের তরফ থেকে যা করার, সেটাই করেছি। যদি কেউ প্রশ্ন করেন, কোথায় ভুল হয়ে গেল, তাহলে বলব, আমরা ১০টি ম্যাচ টানা জিতেছিলাম। ১০টি ম্যাচে ভুল যে করিনি তা নয়। প্রতিটি ম্যাচেই কিছু না কিছু ভুল হয়। নিখুঁত ম্যাচ বলে কিছু হয় না।’
বিশ্বকাপ যাত্রায় ভক্তদের সমর্থন নিয়েও কথা বলেছেন রোহিত। বলেন, ‘বিশ্বকাপ চলাকালীন এই যাত্রায় সবাই আমাদের সমর্থন করেছেন। প্রথমত, স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে আসা সব মানুষ এবং বাড়ি থেকে যারা খেলা দেখেছিলেন তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলাম। সেই দেড় মাসের মধ্যে মানুষ আমাদের জন্য যা করেছে তা প্রশংসনীয়। কিন্তু তারপরে আবার, যদি আমি এটি সম্পর্কে আরও বেশি করে ভাবি তবে আমি বেশ হতাশ বোধ করি যে আমরা তাদের স্বপ্নটাকে পূরণ করতে পারিনি।’
বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর সবকিছু থেকে দূরে চলে গিয়েছিলেন রোহিত। ভক্তদের ভালোবাসায় আবারও বাইশগজে ফিরতে চলেছেন। ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘আমি এটা দেখেছি যে সবাই আমার কাছে আসছেন, আমাকে বলছেন যে তারা দলের জন্য গর্বিত। এটা আমায় ভালো অনুভব করিয়েছিল। আমিও এটা ভেবে ভালো বোধ করি। এই সময়ে এটা আমার জন্য দারুণ কাজ করেছিল। সেই সময়ে আমার যেই বিষয়টা দরকার ছিল, তখন মানুষরা আমায় সেই কথাগুলোই বলেছিলেন এবং আমায় মানসিকভাবে চাঙ্গা করেছিলেন। আসলে খারাপ সময় এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো আপনি শুনতে চান, তখন সকলে আমার সঙ্গে সেটাই করছিলেন। এই বিষয়টা আপনাকে ফিরে আসার এবং আবার কাজ শুরু করার অনুপ্রেরণা দেবে।’
ফাইনালে হারকে হতাশাজনক বললেও অধিনায়ক রোহিত শর্মা স্বীকার করেছেন বিশ্বকাপটা তার জন্য দুর্দান্ত ছিল। চূড়ান্ত পর্বে ব্যর্থ হওয়াটাও ছিল হতাশাজনক। রোহিত শর্মা বলেন, ‘আমি সবসময় ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ দেখে বড় হয়েছি। আমার কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার ছিল বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপের জন্য আমরা অনেক বছর ধরে কাজ করেছি এবং এর শেষটা হতাশাজনক ছিল। আপনি যদি এতে সফল না হন তবে আপনি যা চান তা পাবেন না। আপনি এতদিন ধরে কী করেছিলেন? আপনি কী নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন? এটা ভেবে আপনি হতাশ হন।’
খেলা - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আছিয়ার শেষ স্বীকারোক্তি: আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে (ভিডিওসহ)
- আইপিএলে তাসকিনকে দলে নিবে কি না জানিয়ে দিলো লখনৌ
- শেয়ারবাজারে কারসাজি: বিএসইসি'র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে সামনে এলো গুরুত্বপূর্ণ নাম
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার (১৩ মার্চ ২০২৫)
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- দ্য হান্ড্রেডে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটার শেষ হলো নিলাম
- শিশু আছিয়া ধ/র্ষণ ও হ/ত্যা মামলার প্রধান আসামী হিটু শেখের আদালতে স্বীকারোক্তি
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা নিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট জানা গেল সত্যতা
- দুই কোটি নয় মুস্তাফিজকে দলে নিতে কলকাতাকে গুনতে হবে ৬.৫ কোটি রুপি
- মুস্তাফিজ নাকি তাসকিন আইপিএল খেলার জন্য কাকে এনওসি দিবে বিসিবি
- ৭৫ লাখ রুপিতে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজের সতীর্থ
- আওয়ামী লীগের পতনের কারণ
- অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপন: সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য সুখবর
- লারার রেকর্ড ভেঙে টেস্টে ৪০৪ রানের ইনিংস খেললেন বাংলাদেশের মুস্তাকিম