ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সদ্য সংবাদ

প্রতি মণে যত টাকা কমে গেল পেঁয়াজের দাম

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ ডিসেম্বর ১২ ১৮:৩৪:০৬
প্রতি মণে যত টাকা কমে গেল পেঁয়াজের দাম

পাবনার পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের গড় দাম দুই হাজার টাকা কমেছে। আর একদিনের মধ্যে মণপ্রতি এক হাজার টাকা কমেছে। দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) আমরা বঙ্গগ্রাম বাজারে গিয়ে দেখি তাজা কাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ২৬০০ থেকে ৩৫০০ টাকায়। আর পুরনো হালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে গড়ে পাঁচ হাজার টাকা মণ।

বনগ্রাম হাট পাবনার বৃহত্তম পেঁয়াজের হাটগুলির মধ্যে একটি। সকালে দেখা যায়, এ বাজারে প্রচুর পেঁয়াজের আমদানি রয়েছে। এ ছাড়া পুরনো পেঁয়াজের আমদানিও বেশি হয়েছে। নতুন মুলকাতা বা মুড়ি পেঁয়াজের প্রচুর ফলন হয়েছে। বাজারে জায়গা না পেয়ে অনেক কৃষক রাস্তায় পেঁয়াজের ব্যাগ বিক্রি করে। মোকামে দাম কম থাকায় বাজারের বিক্রেতারাও কম দামে পেঁয়াজ কেনেন।

এদিকে গত শনিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রতি মণ সাত হাজার টাকায় পুরোনো হালি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। আর প্রতি মণ পাঁচ-ছয় হাজার টাকায় নতুন মূলকাটা বা মুড়ি পেঁয়াজ বিক্রি হয়। মূলত পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণায় দাম কমে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চাষিরা জানান, গত তিন দিনের ব্যবধানে উভয় রকম (পুরাতন হালি ও নুতন মূলকাটা) পেঁয়াজের দাম কমেছে মণপ্রতি দুই হাজার টাকা। আর একদিনের ব্যবধানে কমেছে মণপ্রতি প্রায় সাতশ থেকে এক হাজার টাকা। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সুজানগর উপজেলার চিনাখড়া হাটে প্রতি মণ মূলকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩৪০০-৪২০০ টাকায়। আর পুরাতন হালি পেঁয়াজের দর ছিল সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা মণ। অথচ মঙ্গলবার মূলকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৬০০ থেকে ৩৫০০ টাকা মণ দরে। হালি পেঁয়াজের গড় দর ৫ হাজার টাকা মণ।

ওই হাটের একজন ব্যাপারী জানান, পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় হাটে সরবরাহ কম থাকায়। সরবরাহ বেশি হলে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। তারা ইচ্ছা করে দাম বাড়াতে পারেন না। এটা চাহিদা ও আমদানির ওপর নির্ভর করে। মূলকাটা বা মুড়ি পেঁয়াজের মৌসুম পুরোদমে শুরু হলে দাম এমনিতেই কমে আসে।

সদর উপজেলার কোলচুরি গ্রামের চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, তারা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। পেঁয়াজ আমদানি করে দাম কমিয়ে দেয়ায় এই ক্ষতি হয়েছে। আগের হাটে (শনিবার) যে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি সাত হাজার টাকা মণ, আজ (মঙ্গলবার) সেই পেঁয়াজের দাম বলছে পাঁচ হাজার টাকারও কম।

পেঁয়াজ ব্যাপারী ও আড়তদাররা জানান, পেঁয়াজের দাম দ্রুত বাড়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা। এছাড়া বৃষ্টির কারণে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে না পারায় হাটে পেঁয়াজের সরবরাহ খুব কম ছিল। এজন্য দাম অসহনীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। এখন আবার বিদেশ থেকে আমদানির খবরে পেঁয়াজের বাজার কমেছে।

পাবনার চাষি সংগঠক সিদ্দিকুর রহমান ওরফে কুল ময়েজ জানান, সাধারণ চাষিদের লাভবান করতে হলে মৌসুমেও ভালো দাম নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা লাভের অংশ অনেকাংশে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে চলে যায়।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন জানান, এবার আবহাওয়া ভালো। কৃষির মাঠকর্মীরা চাষিদের সব সময় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে