ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

এইবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে সৃষ্টি হল চরম শ্বঙ্কা, পিসিবিকে ক্ষতিপূরণের দাবি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ নভেম্বর ২৮ ১৪:৩১:০২
এইবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে সৃষ্টি হল চরম শ্বঙ্কা, পিসিবিকে ক্ষতিপূরণের দাবি

২০২৫ সালে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে ৷ ভারত সেই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে কিনা সে বিষয়ে বিসিসিআই এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ৷ কারণ সবকিছু নির্ভর করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। এবার আইসিসির ওপর চাপ বাড়াল পিসিবি।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি দীর্ঘদিন ধরে। এই খারাপ সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে দুই দেশের খেলাধুলায়ও। দীর্ঘদিন ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি দুই দেশ। সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়ান কাপের আয়োজন নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। মূলত পাকিস্তানের এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার কথা ছিল। পরবর্তীকালে, ভারত পাকিস্তানে অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে, টুর্নামেন্টটি যৌথভাবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের আয়োজিত হয়।

এরপর ভারতে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ওডিআই বিশ্বকাপ খেলতেও ভারতে এসেছিল পাকিস্তান দল। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করার ও দায়িত্ব রয়েছে পাকিস্তানের। দুই দেশের যা সম্পর্ক তাতে ভারত আদৌও পাক সফরে যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অর্থাৎ পিসিবিও জানে বিষয়টি। ফলে এখন থেকেই বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে তারা।

ইতিমধ্যেই পিসিবির তরফে আইসিসিকে হোস্টিং রাইটস তাদের সঙ্গে সই করার বিষয়ে চাপ দেওয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি কোনও কারণে যদি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলতে ভারত, পাকিস্তান সফরে না আসে তাহলে ক্ষতিপূরণের দাবিও ইতিমধ্যেই পিসিবির তরফে করা হয়েছে আইসিসির কাছে। অর্থাৎ পিসিবির তরফে দ্বিমুখী চাপের নীতি নেওয়া হয়েছে।

কারণ এখন পর্যন্ত আইসিসির তরফে ও পিসিবির সঙ্গে হোস্টিং রাইটসের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়নি। পিসিবির চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ এবং সিইও সালমান নাসির আইসিসির এক্সিকিউটিভ কমিটির সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছে। আমদাবাদেই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। উল্লেখ্য ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এই টুর্নামেন্টের।

পিসিবির তরফে আইসিসিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যদি নিরাপত্তার কথা বলে ভারত এই টুর্নামেন্টে খেলতে আসতে না চায় তাহলে আইসিসি যেন একটি স্বতন্ত্র নিরাপত্তা এজেন্সিকে বিষয়টিতে দায়িত্ব দেয়। তারাই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইসিসিকে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট দেয়।

এই এজেন্সি পাক সরকার এবং পাক নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে। গত দুই বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের একাধিক দল পাক সফরে এসেছে। সেখানে কোন অসুবিধা হয়নি। সেই বিষয়টিকে সামনে রেখে পিসিবি, আইসিসির উপর চাপ বাড়াচ্ছে। যদি ভারত , পাকিস্তানে এই অজুহাতে খেলতে না আসে এবং তাদের ম্যাচ অন্যত্র যদি সরানো হয় তাহলে পিসিবিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ