ঢাকা, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে অনন্য রেকর্ড দেখলো সমর্থকরা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ নভেম্বর ২২ ১১:১৯:২১
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে অনন্য রেকর্ড দেখলো সমর্থকরা

জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় ব্রাজিলের ভক্তরা আর্জেন্টিনার ভক্তদের দিকে আসন ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ শুরু করে। লিওনেল মেসি ও মারকুইনহোসসহ আর্জেন্টিনা দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি। একপর্যায়ে সতীর্থদের নিয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় ম্যাচ। তবে গ্যালারির দর্শকদের সেই তেজ যেন মাঠে দেখাতে শুরু করে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা। ফলস্বরূপ, ম্যাচে ৪২টি ফাউল হয়েছে। যেখানে ব্রাজিল একাই করেছে ২৬। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখতে হয়েছে ব্রাজিলের এক খেলোয়াড়কে। এমন উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। এতে করে লাতিন অঞ্চলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে আলবিসেলেস্তেরা।

খেলা শুরুর আগের সংঘাত যে মাঠে বইবে তা অনুমেয় ছিল। যা মাঠে প্রবেশ করেই তা দেখা যায়। শুরুটা হয়েছিল রদ্রিগো ডি পল এবং লিওনেল মেসি দিয়ে। এরপর অন্য লোকজনও এতে যোগ দেয়। দুই দলের খেলোয়াড়রা ভুলে গেছেন যে ফুটবল খেলা নির্ধারিত হয় গোলের ব্যবধানে। ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে ফাউল ও কার্ড ছোড়া হয়।

মারাকানার ঘরের মাঠে ম্যাচের দুই মিনিটেই আর্জেন্টিনার ডিফেন্সকে চমকে দেওয়ার চেষ্টা করেন বার্সেলোনা তারকা রাফিনহা। কিন্তু রেফারি অফসাইডের পতাকা তুলে দিলে তাদের থামতে হয়। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে আর্জেন্টিনার রদ্রিগো ডি পলের দিকে বল ড্রিবল করার চেষ্টা করেন জেসুস। কিন্তু তার হাত চলে যায় ডি পলের মুখে। ফলে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড পান আর্সেনাল তারকা। ম্যাচের ১৩তম মিনিটে আবারও ফাউলের ​​শিকার হন ডি পল। এবার রাফিনহা তাই করলেন, ফলে ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখালেন রেফারি। প্রথম ১৮ মিনিটে ৮টি ফাউল করেছে ব্রাজিল।

ম্যাচের ২৬তম মিনিটে প্রথমবারের মতো বল আক্রমণ করেন মেসি। কিন্তু সেখান থেকে গোলের কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি ইন্টার মিয়ামি এই তারকা। ৩৩তম মিনিটে অ্যালিসন বেকারের ট্রেডমার্ক পাস থেকে বল পেয়ে গোলের সূচনা করেন মার্টিনেলি। কিন্তু আর্জেন্টিনা ডি-বক্সের কাছে যেতেই বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি।

প্রথমার্ধের শেষ মিনিটের আগে মার্টিনেলির শট মার্টিনেজকে পরাস্ত করলেও গোল লাইনের বাইরে বল ক্লিয়ার করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার। প্রথমার্ধে উভয় দলই ২২টি ফাউল করেছে। যেখানে ব্রাজিলের ১৬টি ফাউলের ​​তুলনায় আর্জেন্টিনার ৬টি ফাউল ছিল।

দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করে সুযোগ তৈরির চেষ্টা করে ব্রাজিল। কিন্তু আলবিসেলেস্তেদের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে মার্টিনেলির প্রচেষ্টা দুর্দান্তভাবে রুদ্ধ করে। তবে খেলার প্রবাহের বিপরীতে ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে লিড নেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। লো সেলসোর কর্নারে হেড করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি।

এর পর ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে আর্জেন্টিনা নিজের দখলে থাকা মেসিকে বেছে নেয় ডি মারিয়াকে। ৮১তম মিনিটে জেলিংটন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ব্রাজিলের জন্য বিপদ বেড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এক গোলের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। একইসঙ্গে ঘরের বাছাইপর্বের ম্যাচে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে আলবিসেলেস্তেদের।

উল্লেখ্য, ব্রাজিল তার ইতিহাসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের কোনো ম্যাচে হারেনি। কিন্তু এবার সেই হারের স্বাদ পেল আর্জেন্টিনা। টানা ৬৪ ম্যাচের পর ৬৫তম ম্যাচে হেরেছে ব্রাজিল।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ