ঢাকা, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১

টান টান উত্তেজনায় শেষ হলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ, দেখে নিন ফলাফল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ নভেম্বর ২২ ১০:১২:১৮
টান টান উত্তেজনায় শেষ হলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ, দেখে নিন ফলাফল

ঘরের মাঠেও দুর্দশা আর কাটানো হলো না ব্রাজিলের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে টানা দুই পরাজয়ের পর মারাকানায় প্রবেশ করেন। কিন্তু ঘরের মাঠে বিপুল সমর্থন পেলেও বদলায়নি ব্রাজিলের গল্প। আর্জেন্টিনার জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময়, সেলেসাও ভক্তরাও জুটি গঠন করে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। আধা ঘণ্টা পর ম্যাচ শুরু হলেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। উল্টো লাল কার্ডের কারণে চাপ বেড়েছে ব্রাজিলের ওপর। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যায় ব্রাজিল।

পুরো ম্যাচে মাত্র একটি গোল হয়েছে। ৬৩তম মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর কর্নার থেকে ম্যাচের নির্ণায়ক গোলটি করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। এর ফলে ব্রাজিলের টানা তৃতীয় পরাজয়। আর খেলার আগে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, লাল কার্ডের ফল ব্রাজিলের ক্ষত আরও বাড়িয়ে দেয়।

মারাকানায় ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ শুরুর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হয় প্রথম ঝামেলা। ব্রাজিলের মারাকানায় আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সঙ্গে ব্রাজিল সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশের সদস্যরা। ঘটনার জেরে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি পুরো দল নিয়ে ড্রেসিংরুমে যান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ম্যাচের লাইভ বিবরণীতে জানায়, ‘আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত চলাকালে ব্রাজিলের সমর্থকেরা দুয়ো দিতে শুরু করলে ঝামেলার শুরু হয়। আর্জেন্টিনা দলের সদস্যরা এবং ব্রাজিলের অধিনায়ক মার্কিনিওস দর্শকদের শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এরপর মেসির সঙ্গে আর্জেন্টিনার বাকি খেলোয়াড়রা মাঠ ছেড়ে চলে যান।

ম্যাচের সময়েও ছিল এই উত্তেজনার রেশ। শুরুর ১৫ মিনিট যেন শারীরিক ভাষা প্রয়োগেই ব্যস্ত ছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। এরমাঝে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রাই অবশ্য চড়াও হয়েছেন বেশি। ম্যাচের ১৫ মিনিট না গড়াতেই কড়া ট্যাকল করে কার্ড দেখেন ব্রাজিলের গ্যাব্রিয়েল জেসুস এবং রাফিনহা। ৩৪ মিনিটে আবার কার্ড দেখেন ব্রাজিলের কার্লোস অগাস্টো।

ম্যাচের সেরা সুযোগটি এসেছে শেষের ঠিক আগে। শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছিলেন ব্রাজিলের গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। ৪৪তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দিতে পারতেন তিনি। দুর্দান্ত হাফ-ভলিতে বল জালে জড়াতে পারতেন তিনি। তবে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার কুটি রোমেরো গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে দলের জন্য নিরাপদ রাখেন।

দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ শুরু করে ব্রাজিল। এমারসন রয়্যালের ক্রস কাঁপিয়ে দেয় আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ। কিন্তু গ্যাব্রিয়েল জেসুস অনেক দূরে ছিলেন। বিপদ বাড়েনি। এবার সেই হুমকির নাম গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। গ্যাব্রিয়েল জেসুস একাই বগিতে ঢুকলেন। জ্যামের মধ্য দিয়ে বল পেয়েছিলেন মার্টিনেলি। তবে তার দুর্বল শট আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক অ্যামি মার্টিনেজকে পরাস্ত করতে পারেনি।

বরং খেলার প্রবাহের বিপরীতে ৬৩তম মিনিটে প্রথম গোলটি করে আর্জেন্টিনা। নাহুয়েল মোলিনার ক্রস ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার রয়েলের পায়ে লেগে গোললাইনের বাইরে চলে যায়। এরপর কর্নার থেকে এগিয়ে যায় সফরকারী দল।

জিওভানি লো সেলসোর কর্নার থেকে গোল করেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। অ্যালিসন বল আটকাতে ব্যর্থ হন। মারাকানা মাঠে ছিল সম্পূর্ণ নীরবতা। গোলের পরও বসে থাকেনি ব্রাজিল। আক্রমণের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন কোচ দিনিজ। হতাশা নিয়ে ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েলকে নামিয়ে দেন জোলিন্টন। কিন্তু এ থেকে কিছুই অর্জিত হয়নি।

পরিবর্তে, ম্যাচের ৮১তম মিনিটে রদ্রিগো ডি পলকে মুখে আঘাত করার পর সরাসরি লাল কার্ড পান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে হয়েছে ব্রাজিলকে। শেষ পর্যন্ত এমন দৃশ্য ব্রাজিলের অপমান আরও একটু বাড়িয়ে দিল। মাঠে বাজে পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ ব্রাজিল ভক্তরা ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়েন। যে কারণে মারাকানায় ব্রাজিলের শেষটা ছিল আরও তিক্ত।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ