ঢাকা, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

সবজীতে কিছুটা স্বস্তি হলেও নিত্যপণ্য ও মাছ-মাংসে আগুন দাম আজকের দেশের বাজারে

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ নভেম্বর ১০ ১৪:৫৬:২৮
সবজীতে কিছুটা স্বস্তি হলেও নিত্যপণ্য ও মাছ-মাংসে আগুন দাম আজকের দেশের বাজারে

বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে বিভিন্ন সবজির দাম। ডিম, আলুসহ কিছু পণ্যের দামও কমেছে। দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতায় সাধারণ ক্রেতারা খুব একটা খুশি নন। দাম কিছুটা কমলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদিকে চাল, ডাল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। ফলে বাজারে স্বস্তি নেই।

জানা যায়, আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) আমাদের সংবাদ কর্মী কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, খিলগাঁও, মতিঝিল এজিবি কলোনি, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

শান্তিনগর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, পণ্যের দাম বেশি। আমাদের কিছু করার নেই। পাইকারি বাজারে দাম বেশি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।শরীফ আহমেদ পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর মগবাজার রেলগেটে থাকেন। মগবাজারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মালিবাগ রেলগেট বাজারে তার সঙ্গে কথা হয়।তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আগের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমছে। তবে চাল, চিনি, আদা, রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে। বাজারে যাওয়া মাথায় কাজ করে না। খুব অস্বস্তিকর।

তিনি আরও বলেন, মোটা চালের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। যা সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের ফসল। আমরা এখন অসহায়। বলার জায়গা নেই। দাম কমে গেলে কী হবে? কত কমবে?যা কমবে তাতে আমদের কিছুই হবে না । যদি কিছু কমতো তাই হতো , দাম না কমে বরং আরো দাম এরই মধ্যে বেড়েছে তিন গুণ। এখন দুই-চার টাকা কমিয়ে লাভ নেই। আমাদের মত ভোক্তারা বড় অসহায়।

আল মামুন শরীয়তপুরের মতিঝিলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। পরিবারের সঙ্গে সেগুন বাগিচায় থাকেন। শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারে এসে বিক্রেতার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।

কী করতে হবে তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি। আপনার মাথা সোজা রাখা কঠিন। আমরা কর্মজীবী মানুষ। আয় সীমিত। আমি যা চাই তা কিনতে পারি না। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। এভাবে বাঁচা কঠিন, সংসার চালাতে লড়াই করতে হবে। আগে ১০০ টাকায় যে পরিমাণ মাল কেনা যেত এখন আর সম্ভব নয়। আয় বাড়ছে না, বাড়ছে ব্যয়।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে আলুর সরবরাহ কম। ভারত থেকে আলু আমদানি করা হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় যে পরিমাণ আলু এসেছে তা খুবই সীমিত। দাম কিছুটা কমেছে কিন্তু নাগালের বাইরে নয়। ফলে বাজারে তেমন প্রভাব পড়ছে না। আর ডিম আমদানির কারণে দাম কিছুটা কমছে। তবে চাহিদার তুলনায় তা খুবই কম।

তারা আরও বলছেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। কিন্তু অন্যান্য সময়ে আলুর দাম সারা বছরই থাকে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। অর্থাৎ আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা কমলেও তা স্বাভাবিক দামের দ্বিগুণ।

হাতিরপুল বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন জানান, খুচরা বাজারে এখন প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়। প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে ডিম বিক্রি হয়েছিল ৫৫ টাকায়। বর্তমানে বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।

এদিকে বাজারে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে মাছের দাম কিছুটা কমেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ, শিং, পাবদা, চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছের দাম কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। কিন্তু আবারও বাড়ছে চিনির দাম। প্রতি কেজি চিনি গড়ে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

তবে সবজিতে পাওয়া যায় স্বস্তি। বেশির ভাগ সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহে বেশিরভাগ সবজির দাম ছিল ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে এক মুঠো লাল শাক বিক্রি হতো ২৫ টাকায়। আজ বিক্রি হতে দেখা গেছে ১০ টাকায়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে