ঢাকা, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রেমিট্যান্স ও অভিবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে, আয় চার মাসের সর্বোচ্চ

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ নভেম্বর ০২ ১০:০৬:২২
রেমিট্যান্স ও অভিবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে, আয় চার মাসের সর্বোচ্চ

ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বৈধ পথে রেমিট্যান্স ও অভিবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে। সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে, প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে মিলিয়ন রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

প্রবাসীরা এখন প্রতি ডলারে ২.৫ শতাংশ সরকারী প্রণোদনা পাচ্ছেন এবং একই পরিমাণ ব্যাঙ্ক থেকে প্রণোদনা পাচ্ছেন। ফলস্বরূপ, অভিবাসীরা আইনি চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো প্রতি ডলারের জন্য ১১৫ টাকার বেশি পাচ্ছেন। তবে কিছু ব্যাংক বেশি ফি নেয়। এটি অভিবাসী আয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরো অক্টোবর মাসে অভিবাসীদের আয় ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলারে পৌঁছেছে। গত তিন মাসে একটানা পতন হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অভিবাসী আয় জুলাই মাসে কোটি ৩১ লক্ষ, আগস্টে কোটি ৯৪ লক্ষ এবং সেপ্টেম্বরে কোটি ৪৩ লক্ষ ছিল। এর আগে জুন মাসে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার এসেছিল।

জানা গেছে, অক্টোবরে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার প্রবাসী আয় হয়েছে। এ ছাড়া ছয়টি সরকারি ব্যাংক ১৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, একটি বিশেষ ব্যাংক ৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং বিদেশি ব্যাংক ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এনেছে।

দেশে ডলার সংকট মোকাবেলায় বুধবার থেকে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের মূল্য ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। ফলে এই উভয় ক্ষেত্রেই প্রতি ডলার আজ থেকে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা হয়ে যায়। তবে প্রবাসী আয়ে সেই মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাওয়া যায়। অন্যদিকে, ব্যাঙ্কগুলি আমদানিকারকদের কাছে ডলার বিক্রি করছে ১১১ টাকায়। এছাড়া আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ দাম ১১৪ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার ডলারের নতুন দর নির্ধারণে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেডা) ও ব্যাংকগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) যৌথ সভা করেছে।

এদিকে, ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, কীভাবে ডলার ১১৪ টাকায় কিনে আমদানিকারকের কাছে ১১১ টাকায় বিক্রি করা যায় তা বোধগম্য নয়। নথিতে এক দাম, বাস্তবে অন্য কিছু। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে অনৈতিক পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে