ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ অক্টোবর ৩১ ২০:৫৩:৫৩
‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’

শিরোনামে উল্লেখিত আইয়ুব বাচ্চুর এই বিখ্যাত গানটি শোনেননি বা তার কথোপকথনে গেয়েছেন এমন কোনো মানুষ সম্ভবত বাংলাদেশে নেই। প্রিয়জনকে উৎসর্গ করে লেখা এই গানটি আজও মানুষের মুখে মুখে। আপনি চাইলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে গানটি গাইতে পারেন। যে বোলিং লাইনআপ থেকে বিশ্বকাপের আগে এত প্রত্যাশা ছিল, তা বাংলাদেশের কাছে একেবারেই অজানা।

বিশ্বকাপের আগে আগস্টে প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান বাংলাদেশের আশা জাগিয়েছে। যেখানেই দেখা যাক না কেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে বোলিং বিভাগে দাপট দেখিয়েছে। বোলিং লাইনআপ হিসাবে, টাইগার পেসাররা দ্রুত বোলিংয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। আর স্পিনে বিশ্বের সেরা দলের খেতাব পেয়েছে বাংলাদেশ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৪ বছরে পাকিস্তান বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলিং লাইনআপে রয়েছে। নাসিম শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফের সমন্বয়ে গঠিত পাকিস্তানের পেস ইউনিট ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ২৯ ম্যাচে ২৭ গড়ে ১৬৩ উইকেট নিয়েছে। তালিকায় পরের নামটি বাংলাদেশের। ১৯ বিশ্বকাপের পর ৪৫ ম্যাচ খেলে ১৮৯ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের ফাস্ট বোলাররা। যেখানে তাসকিন-মুস্তাফিজ-হাসান মাহমুদ উইকেট নিয়েছেন ২৮.৩৩ গড়ে এবং স্ট্রাইক রেট ৩১.৫৫।

কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে সেই দৃশ্যপট সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। প্রতিটি উইকেট নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে টাইগারদের। প্রধান গতি, প্রধান স্পিন। কোন সুখবর নেই। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে হতাশ করেছে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে দুইবার প্রতিপক্ষকে অলআউটে সফল হয়েছেন টাইগার বোলাররা।

উইকেট প্রতি রানের বিচারে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন শেখ মেহেদি। ৬ উইকেট নেওয়া শেখ মেহেদি প্রতিটি উইকেট নিতে খরচ করেছেন ১৮.৫০ রান। বিশ্বকাপের গড় তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছেন তিনি।

এরপর আছেন সাকিব আল হাসান। তালিকার ৪৪ নম্বরে রয়েছেন তিনি। প্রতি উইকেট পেতে ৩৭ রান খরচ করেন তিনি। যা চলতি ম্যাচ শেষে বাড়তে পারে। তার পেছনে মেহেন্দি মিরাজ। তার গড় ৩৮ এর একটু বেশি।

তালিকায় পরের নাম হাসান মাহমুদ। তিনি ৫০ নম্বরে রয়েছেন। তার গড় ৪৪। শরিফুল ইসলাম ৪৪.৭৫ গড়ে ৫১ নম্বরে রয়েছেন। তাসকিন ৫১-এর উপরে গড়ে ৫৬ তম স্থানে রয়েছেন। আর সবার পেছনে মুস্তাফিজ। বিশ্বকাপে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন এই কাটার মাস্টার। প্রতি উইকেটে ৭৩.৫০ রান খরচ করেন তিনি। তালিকায় তিনি ৬৫তম স্থানে রয়েছেন।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বোলারদের ক্রমাগত ব্যর্থতা বারবার ছেয়ে যাচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন, সেই পিচেই উদারতা দেখাচ্ছেন শরিফুল-তাসকিন। স্লো পিচেও এখন অকার্যকর মুস্তাফিজ। বোলিং ইউনিটের পরিচিত প্রান্ত এখন সম্পূর্ণ অজানা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ