‘ব্যালন ডি’ অর ২০২৩, অনুষ্ঠান যেভাবে দেখবেন

ব্যালন ডি'অর ফুটবল বিশ্বে ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের সর্বোচ্চ পুরস্কার। ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন প্রতি বছর এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার প্রদান করে। এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৬ সাল থেকে। পুরষ্কার দেওয়ার এই প্রথা ৬৭ বছর ধরে চলে আসছে। সময়ের সাথে সাথে এই পুরস্কারটি হয়ে উঠেছে ফুটবলের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।

এই বছরের ব্যালন ডি'অর বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে আজ, সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ২টায় প্যারিসের থিয়েত্রে দু চ্যাটেলেতে। ঐতিহ্যগত নিয়ম ভঙ্গ করে, ব্যালন ডি'অর পুরস্কার ঘোষণা করা হবে মৌসুমের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। ব্যালনের প্রায় সাত দশকের ইতিহাসে এই মৌসুমটি দ্বিতীয়বারের মতো বিবেচনা করা হচ্ছে। এর আগে বার্ষিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা থেকে রেড কার্পেটে হাজির হতে শুরু করবে ফুটবলাররা। এ কার্যক্রম আরও অব্যাহত থাকবে। অন্য সব পুরস্কার ঘোষণা করা হবে. এদিন বর্ষসেরা নারী ফুটবলার, নারী ও পুরুষ বিভাগে সেরা কোচ, তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য কেপা ট্রফি এবং গোলরক্ষকদের জন্য থাকবে লেভ ইয়াসিন ট্রফি। এছাড়া সেরা স্ট্রাইকার এবং মাঠের বাইরে অবদানের জন্য সক্রেটিস ট্রফিও থাকবে।

তবে মনে করা হচ্ছে, দুপুর ২টার মধ্যেই জানা যাবে বল হাতে জিতবেন ফুটবলারের নাম। অনুষ্ঠানটি সনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে সম্প্রচার করা হবে। এছাড়াও Sony Liv প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ। এছাড়াও, পুরো ব্যালন ডি'অর ইভেন্টটি লেকিপের ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে।

এবারের ব্যালন ডি’অরের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম লিওনেল মেসি। এবারের ব্যালন ডি’অর আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসির হাতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে একাধিক সংবাদমাধ্যম। বিশ্বকাপ জয়ের পর রেকর্ড অষ্টমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জয়ের আশা করছে কাতার।

এই বছরের ব্যালন ডি'অরের জন্য, ১ আগস্ট ২০২২ থেকে ৩১ জুলাই ২০২৩ সময়কাল বিবেচনা করা হয়েছে। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি পিএসজির হয়ে ফ্রেঞ্চ লিগও জিতেছেন মেসি। এমনকি নতুন ক্লাব ইন্টার মিয়ামির হয়েও শুরুটা ভালো। সব মিলিয়ে মনে করা হচ্ছে রেকর্ড ৫০তম বলেই জিততে চলেছেন লিওনেল মেসি।

তবে ব্যালন ডি’অরের জন্য মেসির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির এরলিং হল্যান্ড। গত মৌসুমে ট্রেবল শিরোপা জিতেছিল তারা। পুরো মৌসুমে ৫২ গোল করেছেন। তিনি উয়েফা বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাবও জিতেছেন। যে কারণে হল্যান্ডও পিছিয়ে নেই।