ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

বিশ্বকাপের হারের ম্যাচেও ইতিহাসে যে রেকর্ডের স্বাক্ষী পাকিস্তানি ক্রিকেটার

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ অক্টোবর ২৮ ১১:৩৮:৫৫
বিশ্বকাপের হারের ম্যাচেও ইতিহাসে যে রেকর্ডের স্বাক্ষী পাকিস্তানি ক্রিকেটার

চলমান বিশ্বকাপের ২৬ তম ম্যাচে পাকিস্তানের দেওয়া ২৭১ রানের টার্গেটে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬০ রানে তাদের নবম উইকেট হারায়। কেশব মহারাজ ও তাবরেজ শামসি শেষ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্মরণীয় জয় এনে দেন। গতকাল নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে পাকিস্তানকে ১ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সপ্তমবারের মতো কোনো দল এক পয়েন্টে ম্যাচ জিতেছে। এর মধ্যে দুইবার জয়ী দলের তালিকায় স্থান পেয়েছে প্রোটিয়ারা। দুবার অপরাজিত দলের তালিকায় নাম উঠেছে পাকিস্তানের।

এই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ছয় ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল। স্বাগতিক ভারত পাঁচ ম্যাচে 10 পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে। ছয় ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। এই হারেও পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার আশা অনেকাংশে নির্ভর করছে ‘যদি তাই হয়’-এর ওপর।

ম্যাচটিতে রেকর্ডবুকে উঠে গেলেন পাকিস্তানের শাদাব খান ও উসামা মীর। তাদের এ রেকর্ড কখনো ভাঙার নয়। আগে থেকেই ক্রিকেটে কনকাশন সাবের নিয়ম চালু করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কিন্তু বিশ্বকাপের ইতিহাসে বিষয়টি কখনোই ব্যবহার হয়নি। কেননা এ নিয়মটি চালু হওয়ার পর এবারই ছিল বিশ্বকাপের প্রথম আসর।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সময় মাথায় চোট লাগে পাকিস্তানের সহ অধিনায়ক শাদাব খানের। ডাক্তাররা মাঠে এসে সেবা যত্ন নিলেও তিনি খেলার মতো ফিট ছিলেন। যার ফলে তার পরিবর্তে মাঠে নামেন আরেক লেগ স্পিনার উসামা মীর। কনকাশন সাবের নিয়মানুসারে তিনি শাদাবের পুরো ১০ ওভারই করতে পারবেন। আর এই ঘটনাটিই বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ঘটলো। সামনে হয়তো আরও ঘটবে কিন্তু ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তারা জায়গা করে নিয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) চেন্নাইয়ে এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করে ২৭০ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ঘটনাটি ঘটে প্রোটিয়াদের ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ঘটনাটি ঘটে। ইফতিখারের বল ঠেলে দিয়ে রানের জন্য ছুটেছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। মিড অন থেকে ছুটে এসে বল কুড়িয়ে বোলারের প্রান্তের ছোড়েন শাদাব। কিন্তু ভারসাম্য ধরে রাখতে না পেরে তিনি মাটিতে আছাড় খান। মাথা গিয়ে সজোরে বাড়ি খায় মাটির সঙ্গে।

আর সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে পড়ে যান। মাঠের মধ্যেই বেশ কয়েক মিনিট তার চিকিৎসা চলে। শেষ পর্যন্ত তিনি সাপোর্ট স্টাফদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়েন। তাকে নিতে মাঠে স্ট্রেচারও আনা হয়েছিল কিন্তু শাদাব হেঁটে হেঁটেই মাঠ ছাড়েন। পরবর্তীতে তিনি মাঠে নামলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ১৫তম ওভারে শাদাবের জায়গায় কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নামেন উসামা মীর।

কনকাশন সাবের ক্ষেত্রে আইসিসি-র নিয়ম বলছে যে ক্রিকেটারের পরিবর্ত নামানো হচ্ছে, নতুন ক্রিকেটারকেও একই রকম হতে হয়। অর্থাৎ ব্যাটারের জায়গায় ব্যাটার, বোলারের জায়গায় বোলারই কনকাশন সাব হতে পারেন। সেভাবেই শাদাবের জায়গায় মীরকে নামানো হয়।

ম্যাচে ব্যাট হাতে শাদাব গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দেন। দলের যোগ্য সময়ে ৩৬ বলে তিনি ৪৬ রান করেন। বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়ার কথা ছিল তার। তবে পরিবর্ত মিরও কম যান। ২৫ ওভারের মধ্যে তিনি চারটি ওভার ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন। একটি দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন। বল হাতে ফিরিয়েছেন রাসি ফান ডার ডুসেনকে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ