ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের চরম ব্যর্থতার আসল কারণটা কি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ অক্টোবর ২৫ ১৫:২৯:৫২
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের চরম ব্যর্থতার আসল কারণটা কি

দায়িত্বপূর্ণ মর্যাদায় যারা বসে আছেন আসলে তারা কি দায়িত্ব পালন করছেন সেটা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে যখন জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাইপলাইনে মাহমুদুল্লাহর রেপ্লেসমেন্ট হিসেবে অনেক ক্রিকেটারি তৈরি হয়ে আছে সেটার উপর ভিত্তি করেই কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে আসলে তার জায়গা থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু সেই মাহমুদুল্লাহর জায়গায় যখন অন্য কোন পাইপ লাইনে থাকা ক্রিকেটারদেরকে রিপ্লেসমেন্ট করা হলো, সে জায়গা থেকে সেই ধরনের কোন ফলাফল নতুনরা বাংলাদেশ টিমকে দিতে পারেনি। পার্শবর্তী দেশ ভারত তাদের পাইপলাইনে যে সমস্ত ক্রিকেটারদের তৈরি করে তারা এমন ভাবেই তৈরি হয় যে তারা আসলে খেলার জন্যই তৈরি হয় এমন না যে তারা জাতীয় দলে যোগ দিয়ে নিজেকে তৈরি করবে তারা মূত তৈরি হয়েই খেলতে নামে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হয় সেটার ভিন্ন।

চলতি বছরের ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডারে অনূর্ধ্ব ১৯ অনূর্ধ্ব ২৩ দলের রয়েছে প্রায় ১৫০ টি করে ম্যাচ। পাইপলাইনে থাকা এই ক্রিকেটাররা এ ম্যাচগুলো খেলে থাকবে। তাহলে তারা যখন বেশি বেশি করে ম্যাচ খেলবেন তাদের এক্সপেরিয়েন্সটা কিন্তু ওরকম ডে বাই ডে উন্নতি করবে তাদের পারফরম্যান্স টা ভালো হবে।

এখন অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশকে তুলনা করছেন, ঠিক আছে ভারতের সাথে আমরা যদি তুলনা নাও করি সেই ক্ষেত্রে যদি আমরা নতুন একটা দল আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করি তারাও কিন্তু তাদের পাইপলাইনে অনেক ক্রিকেটার রয়েছে। এবং আফগানিস্তানও তাদের সূচিতে পর্যাপ্ত পরিমাণের ম্যাচ আয়োজন করে থাকে যার ফলশূতিতে সেখানে ভালো মানের ক্রিকেটার তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশেও এমন অনূর্ধ্ব ১৯ ও অনূর্ধ্ব ২৩ নিয়ে আলাদাভাবে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে পারে কিন্তু সেটার দায়িত্ব কিন্তু বিসিবির একার না। খেলা গুলো সাধারণত যুবক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই মন্ত্রণালয় থেকে একটা বাজেট নির্ধারিত থাকে সেই বাজেটের টাকার কিছু অংশ দিয়ে এই অনূর্ধ্ব ১৯ ও অনূর্ধ্ব ২৩ এর ক্রিকেটারদের নিয়ে ঘরোয়া কিছু টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠান হতে পারে সেটার জন্য বিসিবির সাথে একটা অভ্যন্তরীন যোগাযোগ তৈরি করে কিভাবে কি করা যায় সেটা তারা আসলে চাইলেই করতে পারেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যদি এন এস সি , ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বা জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার গুলোর সাথে সমন্বয় করে টুর্নামেন্ট গুলোর আয়োজন করতে পারেন। অবশ্যই বাংলাদেশের মাটিতে এমসিএল এর মত একটা অনূর্ধ্ব ১৯ ও অনূর্ধ্ব ২৩ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যেতে পারে। তারও কিন্তু প্রতিবন্ধকতার জায়গা রয়েছে সেটা হল স্টেডিয়াম গুলো নিয়ে। স্টেডিয়াম গুলো মূলত এমএসসির সম্পত্তি এটা বাংলাদেশ বিসিবির কোন সম্পত্তি নয়।

তবে বিসিবির চাইলে সেটা কোন মাঠ নিয়ে কাজ করতে পারে কিন্তু মূল দায়িত্বটা হচ্ছে এনএসসির। বিভিন্ন জেলার স্টেডিয়াম গুলো পরিদর্শন করলে দেখা যায় যে সেগুলো ক্রিকেট খেলার যে মান বা ক্রিকেট খেলার যে মাঠ সেটা কিন্তু আর নেই। সেখানে হয়তোবা ক্রিকেটের পরিবর্তে অন্য কিছু করছে কিন্তু সেটাতে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে না। আন্ডার ১৯, এদের যে টুর্নামেন্ট গুলোর আয়োজনের কথা বলা হচ্ছে সেটা না হওয়ার অন্যতম কারণ হলো যথেষ্ট পরিমাণে স্টেডিয়াম না থাকা। এই স্টেডিয়াম না থাকাটা কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোন সমস্যা নয় এটা হল বাংলাদেশ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমস্যা তারা সমস্যাটা নিযে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে পারেন। তাহলে হয়তো বাংলাদেশ একদিন বড় বড় ক্রিকেটার তৈরি করতে পারবে এবং বিশ্বকাপওজয়করতেপারবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ