ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

হারের ম্যাচেও বাংলাদেশের যত রেকর্ড

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ অক্টোবর ২৪ ২৩:১২:১৯
হারের ম্যাচেও বাংলাদেশের যত রেকর্ড

চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে ভারতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেই মিশনে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয় দিয়ে শুরু করলেও পরের তিন ম্যাচে হেরেছে টাইগাররা। কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে অনেক দেরি করছে সাকিব বাহিনী। তাই সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ।

আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে চলতি বছরের বিশ্বকাপের ২৩তম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা। ম্যাচটি শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়। এই ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ের লক্ষ্য নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামেছিল বাংলাদেশ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিন আফ্রিকা দলের অধিনায়ক।

সাকিব-মোস্তাফিজদের কল্যাণে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যের এক প্রদর্শনী হলো বিশ্বকাপের মতো আসরে। দক্ষিণ আফ্রিকার রানের খাতায় ৩৮২ রান দেখে খটকা লাগতে পারে, কিন্তু রানের কথা মাথায় না রেখে একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই বোঝা যাবে, এ ইনিংস থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তিও কম নয় মোটেও। প্রাপ্তির খেরোখাতায় আর কি কি গৌরবজনক অধ্যায় যুক্ত হলো? আসুন বাংলাদেশের ইনিংস শুরুর আগে এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক -

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের চেয়ে কম রান হজম

এই পিচেই কয়েকদিন আগে ৩৯৯ রান দিয়েছিল ইংল্যান্ডের বোলাররা। আজ বাংলাদেশ হজম করেছে তার চেয়ে ১৭ রান কম। বোলিং শক্তিতে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চেয়েও যে বাংলাদেশ ভালো, এ কথা তাই নিঃসন্দেহে বলাই যায়।

ক্লাসেন সেঞ্চুরি-হীন, ডি কক পাননি ডাবল সেঞ্চুরি

ওয়াংখেড়ের মতো ব্যাটিং-স্বর্গে গত ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন একজন - হাইনরিখ ক্লাসেন। রিজা হেনড্রিকস, মার্কো ইয়ানসেন ও রাসি ফন ডার ডুসেন পেয়েছিলেন ফিফটি। আজ একই মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরির খাতায় সেই 'এক' সংখ্যাটাই জ্বলজ্বল করছে দক্ষিণ আফ্রিকার - কুইন্টন ডি ককের কল্যাণে। ফিফটি? ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থেকে একটি কম - শুধু ক্লাসেন ও এইডেন মার্করাম। অন্তত একটি ফিফটি কম হজম করার কারণে বলা যেতেই পারে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের চেয়ে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ বেশ ভালো।

ডি কক পাননি ডাবল সেঞ্চুরি, ২০০ রানের ২৬ ধাপ আগেই বিদায় নিয়েছেন। ওদিকে সেঞ্চুরিহীন থেকেছেন ক্লাসেন। ৯০ রান করেছেন। এই দুজনকে যথাক্রমে ডাবল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি না করতে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের বোলাররা বাহবা পেতেই পারেন! হা-রে-রে-রে করে তেড়ে আসার আগে ভেবে দেখুন, শ্রীলঙ্কার কথা। লঙ্কান বোলারদের পেয়ে তিনটি সেঞ্চুরি করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকানরা। বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছিলেন এইডেন মার্করাম। বাংলাদেশ লঙ্কানদের চেয়ে দুটি সেঞ্চুরি কমই হজম করেছে। দ্রুততম সেঞ্চুরি? ওটাও হয়নি। নিঃসন্দেহে বলা যায় লঙ্কান বোলারদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই আজ মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে সবচেয়ে খরুচে বোলিং হয়নি, ওয়ানডের রেকর্ডও 'অক্ষত'

বিশ্বকাপের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড রশিদ খানের। আফগান এই স্পিনার গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ওভারে ১১০ রান দিয়েছেন। আজ বাংলাদেশের কোনো বোলারকে 'সেঞ্চুরি' করতে হয়নি। এমনকি ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ডে দুই অস্ট্রেলিয়ান মিক লুইস আর অ্যাডাম জাম্পার অবস্থান। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশের দুই বোলারের চেয়ে কম খরচ করে বল করার কারণে বাংলাদেশ একটা ধন্যবাদ পেতেই পারে।

পরের ম্যাচগুলোতে বোলিং...

আজ সাত-সাতজন বোলার হাত ঘুরিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে। বোলিংয়ের এই বৈচিত্র্যময় শক্তিই বিশ্বকাপে খেলা অন্যান্য দলগুলোর চেয়ে আলাদা করে দিতে পারে বাংলাদেশকে, হতে পারে বাংলাদেশের ট্রাম্পকার্ড। এত এত বোলিং অপশন থাকলে, কোন পরিস্থিতিতে কাকে দিয়ে কখন বল করানো যায়, সে ক্ষেত্রে চিন্তা করার অনেক সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ