ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

"বাবরকে দেখে মনে হচ্ছে সে প্রতিদিন ৮ কেজি মাংস খায়"

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ অক্টোবর ২৪ ১৭:১০:৫০
"বাবরকে দেখে মনে হচ্ছে সে প্রতিদিন ৮ কেজি মাংস খায়"

আফগানিস্তানের বিপক্ষে শোচনীয় পরাজয়ের পর সমালোচনার লক্ষ্য বাবর আজম। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরাম বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে পরাজয়ের পরপরই পাকিস্তান ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। আফগানদের বিপক্ষে হারের পর আবারও ফিটনেস নিয়ে আক্রমণ।

ওয়াসিম আকরাম মনে করেন, বাবর প্রতিদিন ৮ কেজি মাংস খান। তিনি পাকিস্তানের জার্সিতে খেলার জন্য উপযুক্ত কি না সেই প্রশ্নও তুলেছেন।

টানা তিন পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপে পাকিস্তান বর্তমানে খারাপ পর্যায়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই করুণ যে তারা বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে যেতে পারে। দেশের সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ভক্তরাও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটের শোচনীয় পরাজয় মেনে নিতে পারছেন না।

পাকিস্তানের স্পোর্টস চ্যানেল ‘এ স্পোর্টস’-এর ‘দ্য প্যাভিলিয়ন’ অনুষ্ঠানে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘আমি ক্রিকেটারদের ফিল্ডিং এবং ফিটনেস নিয়ে ভীষণ হতাশ। গত দুই বছরে তিনি কোনো ফিটনেস পরীক্ষা দেননি। এখন যদি নাম বলি তাহলে তুমি অসুখী হয়ে যাবে। মনে হয় তারা প্রতিদিন ৮ কেজি মাংস খায়। তার কি ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়া উচিত ছিল না?

কাঠগড়ায় ব্যাটিং-বোলিংয়ে বাবরের ব্যর্থতার পাশাপাশি দলের দুর্বল ফিল্ডিং। ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তানের দুর্বলতা একটা দুরারোগ্য ব্যাধি। এমনকি বিশ্বকাপেও পাকিস্তানি ফিল্ডাররা অনেক বল হারিয়েছেন। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোকের কমতি নেই। কিন্তু পাকিস্তানের ফিল্ডিংয়ে উন্নতি কোথায়?

বরং দিন দিন খারাপ হচ্ছে। বিশ্বকাপে ইমাম-উল-হক এবং ইফতিখার আহমেদ তাদের তিনটি ম্যাচে একটি করে ক্যাচ ফেলেছিলেন। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি ক্যাচ নেন দলের ফিল্ডাররা। দুটি উসামা মীর এবং একটি ক্যাপ্টেন বাবর আজমের। আফগানদের বিপক্ষে অন্তত তিনটি ক্যাচ ফেলেছেন পাক ফিল্ডাররা। গুরবাজ, জাদরান, রেহমত সবাই একবার জীবন পেয়েছেন। এছাড়া ফিল্ডিংয়েও অনেক ভুল ছিল। হাসান আলি-শাহীন আফ্রিদিও সহজ বল গলে।

মিসবাহ-উল-হকের কোচ থাকাকালীন তিনি পাকিস্তান দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ব্যাপারে খুবই কঠোর ছিলেন। এ নিয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে গভীর অসন্তোষ রয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। মিসবাহের পদত্যাগের পর ক্রিকেটারদের ফিটনেসের গুরুত্ব কমে গেছে। জানা গেছে, গত দুই বছরে ক্রিকেটারদের কোনো ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হয়নি। ওয়াসিম আকরাম মনে করেন, খেলাধুলার জন্য দেশ থেকে টাকা নেওয়ার কিছু মানদণ্ড থাকা উচিত।

তিনি বলেন, 'পেশাদার দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের হয়ে খেলার জন্য বেতন পান। তাই নির্দিষ্ট (ফিটনেস) মানদণ্ড থাকা উচিত। মিসবাহ যখন কোচ ছিলেন তখন এমনই ছিল। খেলোয়াড়রা এটি পছন্দ করেনি, কিন্তু এটি কাজটি সম্পন্ন করেছে। ফিল্ডিং নির্ভর করে ফিটনেসের ওপর। আর এখানে আমরা পিছিয়ে আছি। এখন আমরা একই জায়গায় ফিরে এসেছি যেখানে আমাদের যদি প্রার্থনা করতে হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ