ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

দীর্ঘ বিশ বছরের আক্ষেপ ঘুচালো ভারত

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ অক্টোবর ২২ ২২:৫৭:৪১
দীর্ঘ বিশ বছরের আক্ষেপ ঘুচালো ভারত

নিউজিল্যান্ডের সর্বশেষ জয় ছিল ২০০৩ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর প্রায় দুই দশক কেটে গেছে। এই সময়ের মধ্যে ভারত আইসিসির কোনো ইভেন্টে কিউই দলকে হারায়নি। অবশেষে ঘরের মাটিতে সেই আক্ষেপ থেকে মুক্তি পেল রোহিত শর্মার দল। ৪ উইকেটের জয়ে সেমিফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল স্বাগতিক দল।

রবিবার (২২ অক্টোবর) ধর্মশালায় টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ২৭৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩০ রান করেন ড্যারিল মিচেল। ভারতের হয়ে দলের সেরা বোলার মোহাম্মদ শামি নেন ৫ উইকেট। জবাবে ৪৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় ভারত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন কোহলি।

২৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে টিম ইন্ডিয়ার দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন। ৪৬ রান করা রোহিতকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন লকি ফার্গুসন। দ্বিতীয় ওপেনার করেন ২৬ রান।

শ্রেয়াস আইয়ারের পর লোকেশ রাহুল ভালো শুরু করলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। দুই অঙ্ক স্পর্শ করার আগেই ফিরেছেন সূর্যকুমার যাদব। উদ্বোধনী জুটির পর বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি ভারত। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা।

কিন্তু বিরাট কোহলি একপ্রান্ত ধরে ব্যাট করেন। তবে সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ৯৫ রানে থামেন তিনি। কোহলি যখন ড্রেসিংরুমে ফিরলেন, ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ৫ রান। ১২ বল বাকি থাকতেই মোহাম্মদ শামিকে ক্যাচ দেন রবীন্দ্র জাদেজা।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩০ রান করেন ড্যারিল মিচেল। ভারতের হয়ে দলের সেরা বোলার মোহাম্মদ শামি নেন ৫ উইকেট।

কিউই দলের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং উইল ইয়ং শুরুতে ধীর গতিতে ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু মোহাম্মদ সিরাজ কনওয়েকে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি। ৯ বল খেলে ডাক পান তিনি। দ্বিতীয় ওপেনার ইয়াং ভালো শুরু করেন। কিন্তু উইকেট স্থিতিশীল থাকা সত্ত্বেও ইনিংসকে এগিয়ে নিতে পারেননি তিনি। ১৭ রান করা এই ওপেনার সিরাজের বলে বোল্ড হন।

শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়েছে কিউই দল। রবীন্দ্র ও মিশেল দলকে টেনে আনেন অতল গহ্বর থেকে। দুজনেই তৃতীয় উইকেটে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। অবশ্য এই দম্পতি অনেক আগেই ভেঙে যেতে পারত। ভারতীয়রা বেশ কিছু ফিল্ডিং ভুল করেছে যা তাদের অপেক্ষা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দুটি রিভিউ এবং দুটি মিস ক্যাচের পর, ভারত মোট পঞ্চমবারের মতো রবীন্দ্রকে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠায়। এর আগে রবীন্দ্রের ব্যাট থেকে আসে ৭৫ রান।

এরপর ব্যর্থ হন টম ল্যাথাম-গ্লেন ফিলিপস। তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে কিউই দল। কিন্তু মিশেল এক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন। আসলে তার ব্যাটের ওপর ভর করেই দল লড়াইয়ের সুযোগ পেয়েছে। ১০০ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১২৭ বলে ১৩০ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

শেষ পর্যন্ত ভারতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মহম্মদ শামি ও জাসপ্রিত বুমরাহ। বিশেষ করে শামি আজ ক্ষিপ্ত! ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। তিনিই একমাত্র ভারতীয় বোলার যিনি দুবার বিশ্বকাপ জিতেছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ