ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

নেটে তাদের সমাদর থাকলেও, জাতীয় দলে তারা বরাবরই উপেক্ষিত

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ অক্টোবর ২২ ১৯:০১:৫৬
নেটে তাদের সমাদর থাকলেও, জাতীয় দলে তারা বরাবরই উপেক্ষিত

তখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে রেকর্ডের দৌড়ে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। বল হাতে হঠাৎই মাঠে নামেন অ্যাডাম জাম্পা। ইখতিখার তার স্পিন জাদুতে আহমেদ ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে গুলিয়ে ফেলেন। ম্যাচ প্রায় হেরে গেলেন এই লেগস্পিনার।

এটা শুধু ঝাঁপিয়ে পড়ার ব্যাপার। বিশ্বকাপে লেগ স্পিনাররা বরাবরই জ্বলে উঠেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামলেন ভারতের চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ যাদব। ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ, আফগানিস্তানের রশিদ খান তার দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাকিস্তানে শাদাব খান এবং উসামা মীর একে অপরের সাথে খেলতেন। আর এসব দেশের বিপরীতে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত এই লেগস্পিনার।

তবে টাইগারদের বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য লেগস্পিনের বিরুদ্ধে অনুশীলন করতে হবে। নেট বোলার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন দুই কিশোর লেগি। একজন ওয়াসি সিদ্দিকী এবং অন্যজন শেখ ইমতিয়াজ শিহাব। বিশ্বকাপের এক ভেন্যু থেকে আরেক বিশ্বকাপে যাওয়ার সময় নেটে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় এই দুই কিশোরকে।

অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা এই দুই লেগকেই শুরু থেকেই দলের সঙ্গে রাখতে চেয়েছিলেন কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। তবে ভিসা জটিলতার কারণে শুরু থেকেই শিহাবের অনুমোদন থাকলেও ওয়াসি ছিলেন না।

তবে এবার দুজনেই মুম্বাইয়ে সতীর্থ। আজ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নেট সেশনে খেলবে তারা। এ ছাড়া ভাড়া করা চায়নাম্যান হিসেবে ঢাকা দলের সঙ্গে আছেন কেরালার কারাপাস জিয়াস।

কিন্তু জাতীয় দলে যেসব লেগস্পিনার ও চায়নাম্যান বোলাররা নেটে সমাদৃত বা ভাড়া করে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে টিম ম্যানেজমেন্টের বড় অনীহা রয়েছে। অলক কাপালির পর বাংলাদেশে লেগ স্পিনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি আর কেউ।

জাতীয় দলে এসেছেন জুবায়ের হোসেন লিখন। সবাই বিশ্বাস করত যে ৩টি ওয়ানডেতে ৪ উইকেট বা ৬টি টেস্টে ১০ উইকেটের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৯ সালে তার বোলিং দেখে, আফগানিস্তানের রশিদ খান তাকে বিশ্বমানের বোলার হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। তবে কোনো এক অজানা কারণে জাতীয় দলে নিয়মিত হতে পারেননি লিখন। নেট বোলার বা ক্যাম্প বোলার হিসেবে ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন তিনি।

লেখালেখিকে বিদায় জানিয়ে ধূমকেতু হয়ে বিপ্লবে এলেন আমিনুল ইসলাম। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টও তার ভাগ্য পরীক্ষা করেছিল। জাতীয় দলের হয়ে ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছেন তিনি। মোটেও খারাপ পারফর্ম করেননি এই লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার। ১০ ম্যাচে ১২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি, তিনি তার ব্যাট দিয়ে ৩৫ রান করেন। তবে ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে তাকে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল।

দীর্ঘ বিরতির পর জাতীয় দলে এসেছেন রিশাদ হোসেন। তবে, লেগি তার নিজস্ব প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩ ম্যাচে নিয়েছেন ২ উইকেট। আরান রিশাদ প্রথম শ্রেণিতে ১৯ উইকেট এবং টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেট নেন।

নিয়মিত ব্যাটসম্যানদের যেমন সুযোগ দেওয়া হয় ম্যাচের পর ম্যাচ, তেমনি লেগস্পিনাররাও সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা মূলত নির্বাচকদের দীর্ঘদিনের আস্থার ফসল। কিন্তু লেগ স্পিনারদের বাদ দিয়ে কোনো সময় নষ্ট করেননি একই নির্বাচকরা। বছরের পর বছর নেটে প্রশংসা পেলেও জাতীয় দলে যোগ দিতে নারাজ এই লেগস্পিনার।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ