ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

৩ বছরের জন্য অত্যন্ত ব্যস্ত কর্মসূচিতে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ অক্টোবর ২১ ১৭:০৪:৫১
৩ বছরের জন্য অত্যন্ত ব্যস্ত কর্মসূচিতে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ

ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় দল একের পর এক হতাশার মুখোমুখি হলেও বাংলাদেশ ফুটবল দল বিশাল সম্ভাবনার মুখোমুখি। ঘরের মাঠে মালদ্বীপের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর অনেকগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। আগামী তিন বছরে, লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ফিফা বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের অন্তত ১২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।

পরবর্তী বছরগুলোতে জামাল ভূঁইয়ার প্রতিপক্ষও অনেক শক্তিশালী ছিল। বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ালিফায়ারের দ্বিতীয় রাউন্ডে তারা খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননের বিপক্ষে। সেখানে হারলেও বড় ম্যাচের সুযোগ রয়েছে।

প্রাথমিক কোয়ালিফাইং রাউন্ড দুই

এটি বিশ্বকাপের প্রাক-বাছাইপর্বের শেষ পর্যায়। এখানে মোট ৯ টি গ্রুপ আছে। অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননের সঙ্গে চূড়ান্ত গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ এ থেকে গ্রুপ ১ পর্যন্ত এই ৯টি গ্রুপের প্রতিটি থেকে শীর্ষ দুটি দল নিয়ে মোট ১৮টি দল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পরবর্তী রাউন্ডে যাবে। আর এই ১৮টি দল ২০২৭ এশিয়ান কাপের সরাসরি টিকিট পাবে। বাদ পড়া ১৮ দলের বিশ্বকাপ স্বপ্ন এখানেই শেষ হবে।

বাংলাদেশের ফুটবল সম্ভাবনা ও বাস্তবতা দেখে বলতে হয় এখান থেকে সেরা দুইয়ে শেষ করা খুবই কঠিন। তবে কোনো ঘটনা দেখাতে পারলে বিশ্বকাপের মূল বাছাই পর্বে চলে যাবে তারা।

প্রাথমিক বাছাইয়ে বাংলাদেশ গ্রুপবিশ্বকাপ বাছাইপর্ব

দ্বিতীয় রাউন্ডের ১৮ জন বিজয়ীকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। এখানে আবার রাউন্ড রবিন লিগ হবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। তিনটি গ্রুপের প্রতিটি থেকে শীর্ষ দুটি দল, অর্থাৎ মোট ৬ টি দল, ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে।

গ্রুপে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অর্জনকারী দলগুলো প্লে অফে যাবে। আর প্রতিটি গ্রুপ থেকে শেষ দুটি দল তাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন পূরণ করে এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যস্ত থাকবে।

এশিয়ান প্লে-অফ

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ছয়টি তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করা দল আবারও দুটি গ্রুপে বিভক্ত হবে এবং একই রাউন্ড রবিন বিন্যাসে একে অপরের মুখোমুখি হবে। এই পর্বে প্রতিটি দল মাত্র দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। উভয় গ্রুপের বিজয়ীরা ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পাবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দুই দল আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে খেলবে।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্লেঅফ:

এখানে আসা দলগুলোর বিশ্বকাপ খেলার শেষ সুযোগ থাকবে। এশিয়ান প্রতিনিধিদেরও মূল পর্বে জায়গা পেতে অন্যান্য মহাদেশীয় দলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। তবে এশিয়া মহাদেশের প্রতিপক্ষ কোন দলের বিপক্ষে খেলবে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

বাংলাদেশ প্রি-কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড দুই থেকে ছিটকে গেলে সরাসরি এখানে খেলতে দেখা যাবে। বাস্তবতার নিরিখে অস্ট্রেলিয়ান-ফিলিস্তিনি গ্রুপ থেকে জামাল ভূঁইয়াকে এখানে দেখা যায়।

প্রাথমিক জয়েন্ট কোয়ালিফায়ারের প্রথম রাউন্ডে পরাজিত ১১ টি দলের মধ্যে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কড দল ছাড়া বাকি ১০ টি দল এই পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য পাঁচটি হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচে একে অপরের সাথে খেলবে। বাংলাদেশের কাছে হেরে যাওয়া মালদ্বীপও এখানে দেখা যাবে। বিজয়ী পাঁচটি দল এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের চূড়ান্ত পর্বে উঠবে।

বিশ্বকাপের প্রাথমিক সম্মিলিত বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়া ১৮টি দল, প্লে অফের পাঁচটি বিজয়ী এবং সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কের দল, মোট ২৪টি দল এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। ২৪টি দলকে ৬টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দল ২০২৭ এশিয়ান কাপে খেলবে।

এই মঞ্চেও হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা হবে। অর্থাৎ চার দলের গ্রুপে তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৬টি ম্যাচ খেলতে পারে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপেও খেলার সুযোগ পাবেন

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ