ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

জেগে জেগে ঘুমাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, এবার না হলে আর কবে

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ অক্টোবর ১৯ ১২:২৮:৩২
জেগে জেগে ঘুমাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, এবার না হলে আর কবে

চলতি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। ফলাফল প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়, কিন্তু ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শোচনীয় পরাজয়।

ক্রিকেটারদের উপর সঞ্চালিত টেস্ট সব দলের মধ্যে খুবই সাধারণ। কিন্তু বড় টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের টেস্ট করার সাহস যে অন্য কোনো দলের টিম ম্যানেজমেন্টের নেই তা বলার কারণ নেই।

যখন বিশ্ব ও আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট এবং বড় সিরিজ আসে, তখন টিম ম্যানেজমেন্টের কথা মাথায় আসে টেস্ট ক্রিকেটারদের। যদিও অপেক্ষাকৃত ছোট ও কম গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের সময় বিষয়টি তাদের মাথায় থাকে না।

এর ব্যাত্যয় ঘটছে না চলতি বিশ্বকাপেও। এবারে ক্রিকেটারদের নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। পরীক্ষা চালাচ্ছে ক্রিকেটারদের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের কথাই ধরা যাক। সেই ম্যাচে তিন নম্বরে নেমেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অপরদিকে নাজমুল হোসেন শান্ত নামেন চারে।

পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনে নামতে দেখা যায় শান্তকে। সেদিন চার নম্বরে নামেন অধিনায়ক সাকিব নিজেই। আর মিরাজকে নামানো হয় পাঁচ নম্বরে।

এরপর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আবারও তিনে মিরাজ ও চারে নামেন শান্ত। এছাড়া তাওহীদ হৃদয়কে নিজের জায়গা ছেড়ে খেলতে হয়েছে ৭ নম্বর পজিশনে।

ঘনঘন এমন ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন প্রভাব ফেলছে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সেও। বিষয়টি স্পষ্ট ফুটে উঠেছে ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে। ক্রিকেট বোদ্ধারা এর জন্য দায় দিচ্ছেন কোচ ও অধিনায়ককে।

কিন্তু সকল সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে বিশ্বকাপের বাকিটা সময়েও ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন জাতীয় দলের হেড কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে।

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হাথুরু বলেন, ‘ব্যাটিং অর্ডারটা আমরা আমাদের পরিকল্পনা মোতাবেকই সাজাচ্ছি। আমরা ম্যাচের কম্বিনেশন অনুযায়ী অর্ডার সাজিয়ে থাকি। এই বিষয়ে আমার ছেলেদের সঙ্গে পরিষ্কার আলোচনা হয়েছে, ওরাও এই বিষয়ে অবগত।’

তিনিউ আরও বলেন, ‘আমরা কিভাবে খেলতে চাই সেভাবে অনুশীলনও চালিয়েছি। কেউ অভিযোগ করেনি, কখনও সফল হয়েছি আবার কখনও ব্যর্থ। আমরা এই পরিকল্পনাতেই পুরো ওয়ার্ল্ডকাপ খেলব।’

একদিন একজন এক ব্যাটিং পজিশনে নামছেন। কিন্তু তারপরও দলকে অগোছালো মানতে নারাজ লঙ্কান এই কোচ।

হাথুরু বলেন, ‘আমার মনে হয় না দলের অবস্থা অগোছালো। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারছি না। আমি জানি ছেলেরা এখন যেমন খেলছে তার চেয়েও ভালো খেলতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাটিং গ্রুপ নিয়ে আমরা এখনও পুরোপুরি পারফরম্যান্স পাইনি। এখনও পুরো সামর্থ্য প্রমাণ করা হয়নি ব্যাটিংয়ে। আশা করছি এই ম্যাচ দিয়েই ব্যাটাররা রানে ফিরবে কারণ উইকেটটা ব্যাটারদের পক্ষে কথা বলতে পারে। আমিও আশা করছি, ছেলেরা তাদের সেরাটা দিয়েই খেলবে।’

বর্তমান বাংলাদেশের ক্রিকেটের অবস্থা এতটা লজ্জা জনক যে, ভক্তকূলদের মাঝে একটা কথাই শোনা যায় বিসিবি যেন জেগে জেগে ঘুমাচ্ছে। কোন সমাধান নেই কোন সমস্যার। কিন্তু অন্যদিকে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের যে শক্তি সামর্থ্য তা অন্যান্য বিশ্বকাপের থেকে এবার অনেকটা বেশি। সেমিফাইনাল যদি বাংলাদেশের লক্ষ্য হয়ে থাকে এর এবার সেই লক্ষ্য পূরণ না করতে পারে তবে আর কবে এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে বাংলাদেশ। এবার না হলে আর কবে হবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ