ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয় কিছু ঘটনা দেখে নিন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ অক্টোবর ১৪ ১০:২২:০৫
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয় কিছু ঘটনা দেখে নিন

১৯৫৫ সাল থেকে শুরু। অনেক বছর কেটে গেছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এসেছে, কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রতিদ্বন্দ্বিতা তার রঙ হারায়নি। দুই দল ১৩৪টি ওয়ানডেতে অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি করেছে। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে আবারো মুখোমুখি হচ্ছে দুই পরাশক্তি। দুই দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ভারত ৫৬ টি ম্যাচ খেলেছে। আর ফল আসেনি ৫ ম্যাচে।

ইমরান খান, কপিল দেব থেকে শুরু করে ওয়াসিম আকরাম-শচীন টেন্ডুলকার। কখনো শোয়েব আখতার, কখনো শহীদ আফ্রিদি। কখনো সৌরভ গাঙ্গুলী, বিরাট কোহলি, পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ উপহার দিয়েছেন অসংখ্য স্মরণীয় মুহূর্ত। ২০২৩ বিশ্বকাপের আজকের ম্যাচের আগে দেখে নেওয়া যাক পাক-ভারত ম্যাচের কিছু স্মরণীয় ঘটনা বিবরণ

১৯৮৭ সালের জাভেদ মিয়াঁদাদসম্ভবত ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় ইয়র্কারটি চেতন শর্মার বোল্ড করেছিলেন। তবে ইয়র্কার করেননি। বোকা হয়েছে। ছয়টি মেয়েদের দল জেতেন জাভেদ মিয়াদাদ, যিনি পাকিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় খেলোয়াড় হিসেবে বিখ্যাত। ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম আমরা শেষ বলে ছক্কা মেরে জয়ের ঘটনা দেখলাম।

মিয়াঁদাদের লাফআরও একবার জাভেদ মিয়াঁদাদ।

১৯৯২ বিশ্বকাপে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ভারতীয় উইকেটরক্ষক কিরণ মোরে বারবার আবেদন জানাচ্ছিলেন। মোরের চেষ্টা ছিল পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ভুল করতে বাধ্য করা। জবাবে বা রাগে বানরের মতো লাফিয়ে উঠল মিনাদাদ। জন্ম হলো আরেকটি স্মরণীয় মুহূর্ত।

আমির সোহেল-ভেঙ্কেটাশ প্রসাদ (১৯৯৬)আগের বলে ভেঙ্কেটাশ প্রসাদকে চার মারেন আমির সোহেল। তিনি কভার এলাকা দেখালেন। তিনি বুঝিয়ে দিলেন পরের বলটি তিনি সেখানেই পাঠাবেন। কিন্তু পরের বলেই উইকেট উড়িয়ে দেন প্রসাদ। ভারতের বন্য আনন্দ। হতাশ আমির সোহেল।

মহাকাব্য সাইদ আনোয়ার (১৯৯৭ )সাঈদ আনোয়ারের মহাকাব্যিক ইনিংস ১৯৪ রানের। এমনকি ভারতের মাটিতেও। অনেক বছর ধরে ওডিআই ইতিহাসে এটি ছিল সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন সাঈদ আনোয়ারও। ২০০৩ বিশ্বকাপ শো। কিন্তু সেবার আলো চুরি করলেন সেঞ্চুরি না করা শচীন।

গ্রেট টেন্ডুলকার, হতাশাজনক শোয়েব (২০০৩ বিশ্বকাপ)

২০০৩ বিশ্বকাপের ম্যাচের আগে শোয়েব আখতার বলেছিলেন যে তিনি শচীনের উইকেট চান। উইকেটও পেয়েছেন। কিন্তু এরপর শচীন করেন ৯৮ রান। তর্কাতীতভাবে পাক-ভারত দ্বন্দ্বের সেরা ইনিংস। সেই ইনিংস খেলার পথে শোয়েবের বাউন্সারে লাফিয়ে থার্ডম্যানের মাধ্যমে ছক্কা হাঁকান তিনি। পরে সেই শটটি ২০০৩বিশ্বকাপের পোস্টার হয়ে ওঠে। শোয়েব অবশ্য শচীনের উইকেট পান। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচটা ভারতের জন্য অনেক দূর চলে গেছে

ভারত সিরিজ জয় উদযাপন করেছে (২০০৪)

২০০৪ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। বলা হচ্ছে ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। ভারত ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে। এই সিরিজই প্রথম যে ওয়ানডে ইতিহাসে ৩০০ রান করাও নিরাপদ নয়। শেষ পর্যন্ত সিরিজ জিতেছে ভারত শেষ ওয়ানডেতে। ইনজামামের সাহসিকতা। ভারতে তারুণ্যের উত্থান। ১৯৯৯ টেস্ট সিরিজের পর, এটি দুই দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত ছিল

আফ্রিদি-গম্ভীরের দ্বন্দ্ব যা এখনও শেষ হয়নি (২০০৭)

২০০৭ সাল ,আবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। আফ্রিদি তখন ক্রিকেট বিশ্বের বড় নাম। আর গম্ভীর শুধু নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। দুজনেই মাঠে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। একবারও না। কয়েকবার তিক্ততা আজও দূর হয়নি।

২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের দুর্দান্ত জয়

২০১১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হারান। ফাইনালে ভারত। অবশেষে বিশ্বকাপ জিতেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও একবার নিজেকে প্রমাণ করলেন শচীন টেন্ডুলকার। অজ্ঞাত কারণে সেদিন পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নামেননি শোয়েব আখতার। পরে তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি যদি খেলতেন তবে শচীনকে আগে ফেরাতে পারতেন।

ভারত পাকিস্তান শেষ সিরিজ (২০১২)

পাকিস্তানের ২০১২ সিরিজ জয়। এটাই শেষ। এরপর দীর্ঘ ১১ বছরে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি ক্রিকেটের এই দুই পরাশক্তি। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে পাকিস্তান। দুই দেশ আবার কবে সিরিজ খেলবে তা জানা যায়নি। এই ছবিটিও তার জন্য স্মরণীয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ