ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

নাস্তা বিক্রেতা হয়ে উঠলেন বিশ্বমানের ক্রিকেটার 

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ অক্টোবর ০৩ ১৪:০৫:৪৪
নাস্তা বিক্রেতা হয়ে উঠলেন বিশ্বমানের ক্রিকেটার 

নতুন বল কিংবা পুরনো বলেই পাকিস্তানের আশার জায়গা হারিস রউফ। ২০২০ সালে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হওয়া এই পেসার দ্রুত পাকিস্তান পেস আক্রমণের মূল সদস্য হয়ে উঠেছেন।

যাইহোক, হারিসের তার জীবনের গল্প পাল্টাতে বেশি সময় লাগেনি, খাবার বিক্রি করা, অতিরিক্ত আয়ের জন্য টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলা। বিশ্বকাপের আগে, পেসার ইএসপিএন ক্রিকইনফো ডকুমেন্টারি 'ইনক্রেডিবল রাইজ অফ হারিস রউফ'-এ গল্পটি স্মরণ করেছিলেন।

হ্যারিস ১৯৯৩ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন। হারিস তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে ক্রিকেট খেলছেন, যদিও তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার কথা খুব একটা ভাবেননি। একে টেপ টেনিস বলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ মেটাতে ক্রিকেট খেলছেন এই পাকিস্তানি পেসার।

তথ্যচিত্রে হারিস বলেন, 'রবিবার নাস্তা বিক্রি করতাম। মায়ের স্বপ্ন ছিল একটি বাড়ি করার। আমি যখন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হই, তখন আমার বাবা আমার ফি দেওয়ার মতো উপার্জন করেননি। আমি নিজে অত আয় করিনি। কিন্তু টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলে সহজেই পারিশ্রমিক মেটাতে পারতাম। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করতে পারেন। এভাবে রোজগার করে টাকা মাকে দিতাম।

২০১৭ সালে, হারিস লাহোর কালান্দার্সের হয়ে একটি ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন এবং কোচ আকিব জাভেদের নজর কেড়েছিলেন। আকিব মূলত হ্যারিসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। সেই বিচার থেকেই তার যাত্রা শুরু। পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার আকিব কীভাবে বিচারে নজর কেড়েছিলেন তার গল্পও শুনিয়েছেন হারিস।

হ্যারিস বলেন, যারা ট্রায়ালে ঘণ্টায় ৮৩ থেকে ৮৪ মাইল বেগে বল করেছে তাদের বেছে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমি যখন বল করি, প্রথম বলটি ছিল ঘণ্টায় ৮৮ মাইল। তাহির মুঘল (কোচ) ভেবেছিলেন স্পিড মেশিনে সমস্যা আছে। আকিব ভাইকে ডাকলেন। আকিব ভাই আমাকে বল করতে বললেন, আমি দ্বিতীয় বলটি ৯০ মাইল গতিতে করেছিলাম। আবার বল করতে বলা হলে, আমি তৃতীয় বলটি ৯২ মাইল বেগে বল করি।

এ প্রসঙ্গে আকিব জাভেদ ডকুমেন্টারিতে বলেন, 'যখন দেখলাম একজন প্রতিভাবান তরুণ ঘণ্টায় ৯২ মাইল বেগে বোলিং করছে। তখনই আমি অনুভব করলাম যে আমি সফলতা পেয়েছি।

এই বিচারের পর হ্যারিসের জীবন বদলে যায়। সেই ট্রায়াল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে আবুধাবি T20 ট্রফির জন্য হারিসকে লাহোর কালান্দার্স দলে ডাকা হয়েছিল। এভাবেই তিনি পাকিস্তান ক্রিকেটে আসেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে তাকে জাতীয় দলে জায়গা পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তার অভিষেক হয়।

ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে সবার নজর থাকবে তার দিকে। নাসিম শাহের ইনজুরির কারণে ২৮টি ওয়ানডেতে ৫৩ উইকেট নেওয়া হ্যারিসকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ