পরিসংখ্যান কি বলছে বাংলাদেশ না পাকিস্তান কে এগিয়ে আছে

দীর্ঘ ১৭ বছর পর এশিয়া কাপে শীর্ষ চারে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে সুপার ফোরে শেষবার দেখা গিয়েছিল টাইগারদের। পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। আজ আবারও বাংলাদেশের সামনে তাদের হারিয়ে ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে।
তবে খুব সহজে বলা যায় কাজটা খুব একটা সহজ নয়। যদিও বাংলাদেশ তাদের শেষ ৫ ম্যাচে ৪ বার জিতেছে, তবে দুই দলেরই সাম্প্রতিক ফর্ম ভিন্ন বার্তা দেয়। অনেকেই পাকিস্তানকে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রাখবে।
উভয় দলের অতীত স্পষ্টভাবে পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে। দুই দল এখন পর্যন্ত ৩৭ বার মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ৫ ম্যাচে। আর পাকিস্তান জিতেছে ৩২ ম্যাচে। তবে ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের সবচেয়ে স্মরণীয় জয়টিও পাকিস্তানের বিপক্ষে। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে বড় অঘটন ঘটিয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ পাকিস্তানের ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ছিল ৩২৯ রান। দুই দেশের মধ্যে ২০১৫ সালের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে, তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ রান করেছিল। তবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোর বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। ২০১০ এশিয়া কাপে শহীদ আফ্রিদির ১২৪ রানের ইনিংস তাদের ৩৮৫ রান সংগ্রহ করতে সাহায্য করেছিল।
কম স্কোরের তালিকায় বাংলাদেশকে একটু হতাশ হতেই হবে। হেড টু হেড ম্যাচে সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় শীর্ষ দশে নেই পাকিস্তান। ২০০০ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশকে ৮৭ রানে আউট করে। ৩২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৩৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়ও রেকর্ড করা হয় একই দিনে।
তবে টাইগারদের বিপক্ষে পাকিস্তানের কম রানের রেকর্ড অনেক পুরনো। জনপ্রিয়ও। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নান্নু-সুজনের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল 161। বাংলাদেশ ৭৯ রানে ম্যাচ জিতেছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিপক্ষে এটাই ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়।
দুই দলের মধ্যে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান করেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮৯৩ রান করেন এই দুর্দান্ত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। আর বাংলাদেশের জার্সিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তামিম ইকবাল। চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার ৬৮৪ রান করেন। সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়ার রেকর্ডও তাদের দখলে। ইউসুফের সেঞ্চুরি তিনটি, তামিমের সেঞ্চুরি দুটি।
তবে বেশির ভাগ উইকেটের পার্থক্য বিশাল। পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি ৩২ বার বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের আউট করেছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী সাকিব আল হাসান। তার উইকেট ২১টি।
বাংলাদেশের খালিদ মাসুদ পাইলট এবং পাকিস্তানের কামরান আকমল সবচেয়ে বেশি বরখাস্ত হয়েছেন। দুজনই ১৭ বার আউট হয়েছেন। তবে আজকের ম্যাচে তাদের হারানোর সুযোগ রয়েছে মুশফিকুর রহিমের। তার ডিসমিসাল ছিল ১৫।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল বিএসইসি
- পুঁজিবাজার সংকটে সরকার নিচ্ছে দ্রুত পদক্ষেপ: ৪ মূল সমস্যা চিহ্নিত
- ১৭৮ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ, এরপর যা ঘটল তা অনেকেই ভাবেননি
- চীনের সহায়তায় পাঁচ জেলায় স্বাস্থ্য বিপ্লব: আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে
- শেয়ারবাজারে বড় পরিবর্তনের আভাস! বৈঠকে বসছে সরকার ও শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠান
- পুঁজিবাজার সংকটে সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট, ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে বিনিয়োগকারীরা
- বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় খবর: ৩০ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- আগামী দিনে বিশ্ব ক্রিকেটে দাপট দেখাবে যে পাঁচ ক্রিকেটার
- বরবাদ, দাগীসহ ঈদের ৭ সিনেমার আয়: ১৭ দিনে মোট কত কোটি টাকা সংগ্রহ?
- এক ছক্কার ভুলেই বিশ্বকাপ হাতছাড়া, বাংলাদেশ লিখল ইতিহাস
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ ও স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা
- আবারও বদলে গেল সোনার বাজারদর, বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর নতুন মূল্য
- লাহোর কালান্দার্স বনাম মুলতান সুলতানস: ম্যাচ শুরুর সময়, একাদশ ও পরিসংখ্যান
- রিয়াল মাদ্রিদ বনাম আর্সেনাল কোয়ার্টার ফাইনাল স্কোর আপডেট
- ওয়ানডে ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ