ঢাকা, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বেকহামের দেখানো পথেই হাঁটবে মেসি, এমনই ইঙ্গিত দিলেন তিনি

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৩ আগস্ট ০১ ২২:১৩:৩৬
বেকহামের দেখানো পথেই হাঁটবে মেসি, এমনই ইঙ্গিত দিলেন তিনি

আলমের খান: সহস্র শতাব্দীতে একবার এমন ফুটবলার এই ভুবনে আসেন। লিওনেল মেসিকে নিয়ে এই ধরনের কথা হারহামেশাই শোনা যায়। অবশ্য কথাটি যে অতিরঞ্জিত ব্যাপারটি কিন্তু এমন নয়। নিশ্চিতভাবেই ম্যারাডোনা এসেছিলেন, পেলে এসেছিলেন সদ্য সময়ের রোনালদোতো আছেনই। তবুও মেসিতো সেই একটাই, আকাশে নক্ষত্রও তো অজস্র। তবু চাঁদতো সে একটাই। হাজারো তারার ভিড়েও তাকে চিনে মানুষ চাঁদ হিসেবে।

সে মহিমান্বিত তার নিজ অস্তিত্বে। তাই মেসিও সেই রকমই, অনেক মহান ফুটবলার এসেছেন আসবেন এটাই নিয়ম। হয়তো মেসির চেয়েও বড়, মেসির চেয়েও অর্জনধারী। তবে ওই যে বললাম না মেসিতো সেই একটাই। তাই এই এক মেসিকে নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নেমেছিল সারা বিশ্বজুড়ে ক্লাবগুলো। তবে সেরাদের সেরা আমেরিকানরাই শেষ পর্যন্ত মেসিকে নিজেদের দলে ভেড়াতে সক্ষম হয়েছে।

আমেরিকান বললে হয়তো ভুল বলা হচ্ছে, এক ইংলিশেরই তো সবচেয়ে বড় অবদান মেসিকে একেবারে পশ্চিমমুখী করার পেছনে। নামটি ডেভিড বেকহাম। খেলোয়ার বেকহামের পরিচয় দেওয়াটা খানিকটা স্পর্ধার মতো দেখায়। নিঃসন্দেহে তার নামই যথেষ্ট। তাই সেই দিকে না যাওয়া যাক। বরং ফুটবল সংগঠক বেকহামের পরিচয়ে আসা যাক। মাত্র বছর তিনেক হয়েছে মেজর সকার লীগের ক্লাব ইন্টার মিয়ামির মালিকানা পেয়েছেন তিনি। তার আরো পার্টনার রয়েছে সেই হিসেবে এটিকে যৌথ মালিকানা বলা যেতে পারে।

মালিকানা পাওয়ার মাত্র বছর তিনেকের মধ্যেই দল বেশ ভালোভাবে গুছিয়ে ফেলেছেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার। শুধু তাই নয় নিজের এক সময়কার সতীর্থ এবং বন্ধু মেসিকেও দলে ভিড়িয়ে সংগঠক হিসেবেও হয়ে গেলেন কিংবদন্তিতুল্য। সাম্প্রতিক নিজের এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকাতে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন এই দিগ্বিজয়ী ফুটবলার। বেকহামের মতে, মেসির যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে যোগ দেওয়া শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল ইতিহাসেরই নয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া ইতিহাসেরই সেরা অর্জন। নিশ্চিতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়া ভবিষ্যতের উপর মেসির এই দলবদল রাখবে মুখ্য ভূমিকা। এটিকে ঐতিহাসিক বলেও আখ্যা দিয়েছেন ইতিহাস রচনা করা এই ফুটবলার।

তিনি এমনও বলেন, ২০০৭ সালে আমি যখন লস এঞ্জেলসে আসি তখন অনেকেই এই ব্যাপারে কটু মন্তব্য করে। তবে আমি দৃঢ় সংকল্পের সাথে নিজ লক্ষের প্রতি অবিচল থাকি। আমি যখন যুক্তরাষ্ট্রে যোগদেই তখন খুব বেশি সুযোগ-সুবিধা ছিল না এখানে। তবে আমি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকুই করেছি যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে অবদান রাখার। মেসি দূরদর্শী ফুটবলার। সে জানে আমরা জিততে চাই আমরা নতুন কিছু প্রতিষ্ঠা করতে চাই সে নিজেও সেটা চায়। নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারে কোন কিছুই জেতা বাকি রাখেনি সে। ফলে এখানেও জিততেই চাইবে মেসি।

তার এখানে আসা শুধু এই প্রজন্মের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয় আগামী প্রজন্মের জন্যও সমান ফলপ্রসূ হবে। তার থেকে নিশ্চিতভাবেই অনেক কিছু শিখবে ক্ষুদে ফুটবলাররা। বেকহাম মেসির এই দলবদলকে মহৎ কোন উদ্দেশ্যে সাধিত কর্ম বলেই আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি এরকম আরো অনেক কিছুই বলেছেন। যেগুলো দ্বারা স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে নতুনত্বের গান গাইতেই পৃথিবীর ইতিহাসের নতুনতম দেশে এসেছেন মেসি। অর্থাৎ বেকহামের পদাবলী অনুসরণ করছে গ্রহের সবচেয়ে বিখ্যাত ফুটবলার। সেই হিসেবে হয়তো ক্যারিয়ারের পাট চুকিয়ে একসময় সংগঠক হিসেবেও মাঠে নামবেন মেসি। দেখা যাক ভবিষ্যৎ আর কি কি চমক রেখেছে দেখার জন্য।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে