ইসলামে স্বামীকে ভাই বলে সম্বোধন করা যাবে কিনা, দেখেনিন বিধান

তবে স্ত্রীকে বোন বা আপু বলে ডাকা মাকরুহ। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘এক ব্যক্তি নিজ স্ত্রীকে বলল, হে আমার বোন। রাসুল (সা.) তা শুনে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সে কি তোমার বোন?’ তিনি তা অপছন্দ করেন এবং তাকে এভাবে ডাকতে নিষেধ করেন।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২২০৪)
একইভাবে স্বামীকে ভাই বলে সম্বোধন করাও অনুচিত। তবে কেউ এমন বলে ফেললে এর কারণে বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো ক্ষতি হবে না। (ফাতহুল কাদির ৪-৯১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১-৫০৭; রদ্দুল মুহতার ৩-৪৭০)
তবে স্বামী স্ত্রীকে বোন বলে সম্বোধনের মাধ্যমে এমন ইচ্ছা করে যে, আমার বোন যেমন আমার জন্য হারাম, তুমিও তেমনি আমার জন্য হারাম; তাহলে তা ‘জিহার’-এর অন্তর্ভুক্ত হবে। এমতাবস্থায় স্ত্রী-স্বামীর মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক বহাল থাকবে না যতক্ষণ না স্বামী ‘কাফ্ফারা’ আদায় করে। আর জিহারের কাফ্ফারা হলো ধারাবাহিকভাবে দুই মাস রোজা রাখা বা ৬০ জন অসহায় ব্যক্তিকে খাওয়ানো। (সুরা মুজাদালাহ, আয়াত : ৩)
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা নিজেদের স্ত্রীদের ‘জিহার’ করে তারা যেন জেনে রাখে যে, তারা তাদের মা নয়, তাদের মা তো তারাই যারা তাদেরকে প্রসব করেছে, তারা তো কেবল অশালীন ও মিথ্যা কথা বলে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল ও মার্জনাকারী।’ (সুরা মুজাদালাহ, আয়াত : ২)
তাই এ ধরনের অহেতুক ঝামেলা এড়াতে স্ত্রীকে বোন সম্বোধন করা থেকে বিরত থাকাই নিরাপদ।
স্বামীর নাম ধরে ডাকা
স্বামী-স্ত্রী যদি সমবয়সী হয় কিংবা বন্ধুসুলভ হয় এবং স্বামী যদি তার নাম ধরে ডাকলে মনে কষ্ট না পায়, তাহলে নাম ধরে ডাকলে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, ইসলামে এর নজির আছে। ইবরাহিম (আ.) যখন তাঁর স্ত্রী হাজেরা এবং শিশুপুত্র ইসমাইলকে মক্কার জনমানবহীন প্রান্তরে রেখে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পেছন থেকে তাঁর স্ত্রী তাঁকে এভাবে ডাকেন—‘হে ইবরাহিম!’ পুরো ঘটনা সহিহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে।
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর স্ত্রীর (সারার) মধ্যে যা হওয়ার তা হয়ে গেল, তখন ইবরাহিম (আ.) (শিশুপুত্র) ইসমাইল ও তাঁর মাকে নিয়ে বের হলেন। তাঁদের সঙ্গে একটি থলে ছিল, যাতে পানি ছিল। ইসমাইল (আ.)-এর মা মশক থেকে পানি পান করতেন। ফলে শিশুর জন্য তাঁর স্তনে দুধ বাড়তে থাকে। অবশেষে ইবরাহিম (আ.) মক্কায় পৌঁছে হাজেরাকে একটি বিরাট গাছের নিচে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। অতঃপর ইবরাহিম (আ.) নিজ পরিবারের (সারার) কাছে ফিরে চললেন। তখন ইসমাইল (আ.)-এর মা কিছু দূর পর্যন্ত তাঁকে অনুসরণ করেন। অবশেষে যখন কাদা নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন তিনি পেছন থেকে ডেকে বলেন, ‘হে ইবরাহিম! আপনি আমাদের কার কাছে রেখে যাচ্ছেন?’ ইবরাহিম (আ.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে।’ হাজেরা (আ.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩৬৫)
এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে স্বামীর নাম ধরে ডাকার প্রচলন আছে। সুতরাং এ বিষয়ে সামাজিক নিয়ম-নীতি, সম্মান ও ভদ্রতার প্রতি লক্ষ রাখা জরুরি।
ধর্ম - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি করলো এনসিপির প্রার্থীরা
- মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন নাম দিল আইসিসি
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সরাসরি জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- দুই আসন থেকে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ সামান্য বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার