ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

ঠোঁটে চুম্বনে রয়েছে মানসিক শান্তিসহ নানান উপকারিতা

স্বাস্থ্য ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২২ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১১:২৩:০৫
ঠোঁটে চুম্বনে রয়েছে মানসিক শান্তিসহ নানান উপকারিতা

হ্যাঁ, ভালোবাসা যে খুব ভালো সেটি প্রেমিক-প্রেমিকারা অনুভব করতে পারেন। এ বিষয়ে সায় মিলেছে গবেষকদের কাছ থেকেও। তারা জানিয়েছেন, কাছের মানুষটির ঠোঁটে ভালোবাসার একটি চুমু শরীরে ও মনে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সম্প্রতি জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘বোল্ডস্কাই’এর এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে চুমুর নানা উপকারিতা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ভালোবাসা প্রকাশের একান্ত এই মাধ্যমের সুবিধাগুলো কী কী-

ঠোঁটে চুম্বনে মানসিক শান্তি

প্রেমিকার একটা ছোট চুম্বনে মানসিক চাপ কমে যায় অনেকখানি। কারণ শারীরিক অনুশীলন করার মতোই চুমু শরীরে ‘‌হ্যাপি হরমোন’‌ নিঃসরণ করে।

ওজন কমাতে চুমু খান প্রিয়জনকে

চুমু খাওয়ার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো এটি শরীরে ক্যালরির পরিমাণ কমায়। গবেষণায় দেখা যায়, চুমু খাওয়ার মাত্র ১ মিনিটে ছয় ক্যালরি করে ক্ষয় হয়। তাই সহজেই বোঝা যাচ্ছে, ওজন কমাতে শারীরিক কসরতের মতো কঠিন কাজগুলোর চেয়েও সহজ উপায় হচ্ছে চুমু খাওয়া। তো দেরি কীসের?

শরীরে আসে প্রশান্তির ছোঁয়া

মানুষের শরীরের প্রশান্তি বাড়াতে অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন নামক দুটি হরমোন নিঃসৃত হয়। চুমু খাওয়ার সময় এদের নিঃসরণের পরিমাণ এতোটাই বেড়ে যায় যে, পূর্বের সব ক্লান্তি ভুলে একজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে। তাই বিষণ্ণ থাকলে মাত্র একটি চুমু বদলে দিতে পারে মন।

মজবুত করে মুখের পেশি

প্রিয়জনের চুমু খাওয়াতে শুধু মন ভালো হয়, তা কিন্তু নয়। ঠোঁটে চুমু দিলে, চোয়াল সুগঠিত থাকে। গবেষণায় দেখা যায়, চুমু খাওয়ার সময় একসঙ্গে ৩০টির মতো পেশী কাজ করে। এতে টান টান আকর্ষণীয় একটি চোয়াল পাওয়া সম্ভব।

চুমুতে কমবে ব্যথা

ব্যস্ততা ও ক্লান্তিতে ভরা একটি দিনের পর শরীরের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এতে অনেকে শরীরেই ব্যথা অনুভব করেন। আর সে সময় অনেকেই নানা ওষুধ সেবন করে থাকেন। কিন্তু কী দরকার ওষুধের, চুমু আছে না? গবেষকরা বলছেন, অনেক সময় ওষুধের চেয়েও কার্যকরি ভূমিকা পালন করে প্রিয়জনের চুমু। ঠোঁটে চুমু খাওয়ার সময় বেশ কিছু রাসায়নিক নিঃসৃত হয়, যা শরীরের ব্যথা ও ক্লান্তি কমিয়ে দেয়।

বাড়ে হৃদয়ের ক্ষমতা

ভালোবাসা এমনিতেই হৃদয়ের শক্তি বাড়িয়ে দেয়। আর যদি নিয়মিত প্রিয়জনকে চুমু খাওয়া যায়, তাহলে নাকি সেই শক্তি আরো বেড়ে যায়- এমনটাই বলছেন গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, চুমু খাওয়াতে শরীরে রক্তের সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। যারা নিয়মিত চুমু খান তারা কমপক্ষে পাঁচ বছর বেশি বেঁচে থাকেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

নিয়মিত চুমু খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চুমু খাওয়াতে শরীরের মানসিক প্রক্রিয়া বেশ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে। আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন এর মতে, খাবারের পর দাঁত ব্রাশ করা চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ চুমু খাওয়া। কারণ চুমুর সময়, একে অন্যের লালা বিনিময়ে মুখের ব্যাকটেরিয়ার আদান-প্রদান হয়। এতে শরীরে অন্যের লালা প্রবেশকে কেন্দ্র করে এক ধরনের এন্টিবডি তৈরি করে, যা জীবাণু ধ্বংসে বেশ কার্যকারী থাকে।

চুমুতে ক্লান্তি দূর

একে-অপরকে কাছে পেলে যেন প্রেমিক-প্রেমিকার ক্লান্তি পালানোর পথ পায় না। সেক্ষেত্রে একটি জুটিকে আরো প্রাণবন্ত, প্রেমময় করতে চাই চুমু। চুমুর সময় রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়। এতে রক্তচাপ কমে যায়। তাই উচ্চরক্তচাপ রোগীদের নিয়মিত চুমু খেতে খুব গুরুত্বের সঙ্গেই বলে থাকেন চিকিৎসকরা। এছাড়া চুমু খেলে শরীরের ক্লান্তি বেশ কমে যায় বলে আরো এক গবেষণায় জানা গেছে।

এলার্জিমুক্ত শ্বসনতন্ত্র

জাপানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঠোঁটে নিয়মিত চুমু খাওয়াতে শ্বসনতন্ত্র এলার্জিমুক্ত থাকে। শ্বাসনালীতে এলার্জির পরিমাণ বাড়াতে হিসটামিন নামে নাইট্রোজেন ঘটিত এক জৈব পদার্থ কাজ করে। ঠোঁটে চুমু খেলে এর পরিমাণ কমে যায়। ফলে এলার্জি আক্রান্ত পেশীগুলো জীবাণুমুক্ত থাকে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে