ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ: বিসিবি সভাপতি না ক্রিকেট বোর্ডের নতুন দায়িত্ব নিতে চান পাপন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২১ সেপ্টেম্বর ০১ ২১:২৮:৫২
ব্রেকিং নিউজ: বিসিবি সভাপতি না ক্রিকেট বোর্ডের নতুন দায়িত্ব নিতে চান পাপন

কয়েক দিন আগে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে পাপন জানিয়েছিলেন, চিকিৎসক তাকে খেলা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে ক্রিকেটের অভিভাবক হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালনের পর অন্য কারও হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ায় সহজ নয়। পাপন তাই সঠিক মানুষ খুঁজছেন, যিনি বিসিবির হাল ধরতে পারবেন।

পাপন বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে নির্বাচন করা, আরেকটা হল বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়া। বোর্ড প্রেসিডেন্টের এখন যে কাজগুলো আছে তা তিনটা ভাগে ভাগ করা যায়।’ প্রথম ভাগে অবশ্য বোর্ড সভাপতির খুব বেশি প্রয়োজন দেখছেন না পাপন। তবে দলের সাথে সংযোগ রক্ষার ওপর তিনি এবারও গুরুত্বারোপ করেছেন।

পাপন বলেন, ‘একটা হচ্ছে ডে টু ডে ম্যানেজমেন্ট, যেটাতে আসলে বোর্ড প্রেসিডেন্টের তেমন কিছু করার থাকে না। আরেকটা যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল- টিমের সাথে, ম্যানেজমেন্টের সাথে, কোচিং স্টাফদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা। যেটা আমার সময়ও ঠিকমত হয়নি, তার আগেও হয়নি। ওদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ অত্যন্ত জরুরী। বোর্ড প্রেসিডেন্ট যেই হোক না কেন, তার এটা থাকলেই ভালো।’

দলে বিসিবি সভাপতির সরাসরি হস্তক্ষেপ নিয়ে অতীতে অনেক বিতর্কই হয়েছে। তবুও কেন এই বিষয়টির ওপর এত গুরুত্বারোপ, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন পাপন, ‘একটা ম্যানেজমেন্ট টিমের সাথেও সমস্যা থাকতে পারে, কোচিং স্টাফদের সাথেও সমস্যা থাকতে পারে।

এটা কাকে বলবে? এটা তো তো আর কোচিং স্টাফকেও বলে না, ম্যানেজমেন্টকেও বলে না। সেজন্য একজনকে দরকার। তাই আমার মনে হচ্ছে প্রেসিডেন্টই এখানে সবচেয়ে উপযুক্ত। এখানে অন্য কাউকে দায়িত্ব অর্পন করে দিতে পারি।’

শুধু তা-ই নয়, বিশ্ব ক্রিকেট ও আইসিসিতে বোর্ডের অবস্থান সমুন্নত রাখতেও বোর্ড সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানান নাজমুল হাসান পাপন।

বিসিবি সভাপতি হিসেবে দলের ভালোমন্দ দেখভাল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষা, টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে যোগাযোগ- সবকিছু মিলিয়ে কাজের চাপ অনেক বেশি হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে বিসিবি সভাপতির।

তিনি বলেন, ‘আমার সমস্যাটা হচ্ছে- টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে আগে থেকেই আমার ভালো যোগাযোগ ছিল। মাঝখানে এক বছর ছিল না। গত বিশ্বকাপের পর আবার বেড়েছে। এটা না করে আমি থাকতে পারব না। আমি যদি সভাপতি থাকি, তাহলে এটা না করে থাকতে পারব না।’

‘আইসিসি ও অন্যদেশ সম্পর্কিত প্রচুর কাজ আছে, একদিনে সাত আটটা জুম মিটিং করতে হবে। কাজটা এতো বেশি এখন যে আমি মনে করি সে কাজের লোডটা আমার জন্য অনেক বেশি। সেজন্য আমি চাচ্ছি না (সভাপতি হতে)। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে যে এখানে আরও বেশি সময় দিতে পারে। আমি উপভোগ করছি না তা না।’

বিসিবি সভাপতি তাই পরিস্কার করেই বলেছেন, আগামী দিনে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা তার জন্য অনেক কঠিন। তবে একইসাথে যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে বের করে তাকে দায়িত্ব অর্পনও যে সহজ নয়, সে কথাও জানালেন তিনি।

পাপন বলেন, ‘আমি বলছি না এটা আমার ভালো লাগে না। কিন্তু সামনের দিনগুলোতে ফুল টাইম দেওয়া আমার জন্য অসম্ভব। যদি আমি সময় না দিই, এই পজিশনে তাহলে কী হবে? তখন তো বোর্ড ভোগান্তিতে পড়বে, ক্রিকেট ভোগান্তিতে পড়বে। এটা আমি চাই না। তাই আমাদের একটা সমাধানে আসতে হবে।’

‘আমি মনে করি এখানে নতুন কেউ যদি আসে তাহলে ভালো হয়। পরিচালক হিসেবেও যারা আসতে চায় আসুক। আমাদের গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার একটা চিন্তাভাবনা আমি করছি। এজন্য আমি বলছি- আমি বোর্ডের পরিচালক পদে নির্বাচন করতে পারি, কিন্তু প্রেসিডেন্ট নাও হতে পারি।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে