ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

এইমাত্র পাওয়া: বিকেল হলেই ছটফট করতেন আইয়ুব বাচ্চু

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২১ আগস্ট ১৬ ১৯:৪৩:২৯
এইমাত্র পাওয়া: বিকেল হলেই ছটফট করতেন আইয়ুব বাচ্চু

প্রিয় ভাগ্নের স্মৃতিচারণ করে আইয়ুব বাচ্চুর ছোট মামা আব্দুল আলীম লোহানী বলেন, ‘লেখাপড়ায় অমনোযোগী আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রামের সিটি কলেজ থেকে পাশ করেই নিজের বড় মামার জুতার দোকান মতিন ফুটওয়্যারে ঢুকে পরেন। তবে দোকানে যে তার মন কখনও বসতো না, তা স্পষ্ট বুঝা যেত।

বিকাল হলেই বাচ্চুর বন্ধুরা এসে দোকানে উঁকি ঝুঁকি দিতো আর তখন থেকেই বাচ্চু ছটফট করতে থাকতো, কখন বাইরে যাবে। এরপর হঠাৎ করেই চোখের পলকে মিলিয়ে যেতো। কোথায় যেতো সেটাও আমাদের সকলের জানা ছিল। বিকালের সময়টায় আইয়ুব বাচ্চু তার বন্ধুদের নিয়ে গিটার বাজিয়ে গানের চর্চা করতেন।’

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আইয়ুব বাচ্চু সম্পর্কে অনেক মজার তথ্যই দিয়েছেন তার মামা। আইয়ুব বাচ্চুর নানী তাকে আদর করে বাঁশি নামে ডাকতেন। বাঁশি যেমন মানুষের মুখে মুখে থাকে তেমনি আইয়ুব বাচ্চুর নামও সকলের মুখে মুখে থাকবে, এমন ভাবনা থেকেই নানী তাকে এই নাম দিয়েছিলেন।

আইয়ুব বাচ্চু প্রথম যখন ঢাকায় আসেন তখন তিনি উঠেছিলেন এলিফ্যান্ট রোডের একটি হোটেলে এবং সেখানে তিনি লবিতে পাটি পেরে ঘুমাতেন। ঐ সময়ে ছোট ছোট অনুষ্ঠান, বিয়ে, জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গান গেয়ে দিন পার করতেন।

সেই সময়ে একজন ভদ্র মহিলাকে আইয়ুব বাচ্চু খালা নামে ডাকতেন যার সরকারের উচ্চপদস্থ অনেক লোকজনের সাথে উঠা বসা ছিল, সেই সুবাদে তিনি আইয়ুব বাচ্চুকে সোনারগাঁ হোটেলের একটা অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন। তখন থেকেই দিন বদলাতে থাকে আইয়ুব বাচ্চুর। এরপর বিভিন্ন সময়ে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন ব্যান্ড দলের সাথে।

ছোটবেলা থেকেই বেশ দানশীল ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। গরীব কেউ তার কাছে আসলে তিনি কখনও তাকে খালি হাতে ফেরত দিতেন না। এছাড়াও বিভিন্ন মসজিদেও অনেক দান খয়রাত করেছেন তিনি।

নিজের বাক্তিগত সম্পদ বলতে আইয়ুব বাচ্চুর আছে মগবাজারের একটি ফ্ল্যাট যেখানে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন এ বি কিচেন এবং তার ভাণ্ডারে যত বাদ্য যন্ত্র ছিল সব রাখা হয়েছে সেখানে। সেই ফ্ল্যাটে আইয়ুব বাচ্চু কখনও থাকতেন না, তিনি থাকতেন ধানমণ্ডিতে।

ঢাকায় থাকলেও আইয়ুব বাচ্চুর মনে প্রানে মিশে ছিলো চট্রগ্রাম। এই কারণেই সময় পেলেই ছুটে যেতেন চট্টগ্রামে। সকল আত্মীয় স্বজনের সাথে খুবই ভালো আচরণ করতেন তিনি।

নিজের বাবা মাকে অনেক ভালবাসতেন আইয়ুব বাচ্চু। বেঁচে থাকা অবস্থায় তিনি এক ভিডিওতে সাবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, কেও যেন তাদের বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে না রেখে আসেন। এখন আর এসব কেউ বলবে না।

নতুন করে গিটার হাতে তুলবেন না এই কিংবদন্তী। সাড়ে তিন হাত ছোট্ট মাটির ঘরে নিজের নিবাস গড়েছেন তিনি। এখন তার লক্ষ্য আকাশের ওপারে নিজের সাম্রাজ্য গড়া। ওপারে ভালো থাকুন প্রিয় আইয়ুব বাচ্চু।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে