ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

সে দিন রাতে কি করেছিল পরীমনির সাথে নাসির-অমি, জানালেন গোয়েন্দা পুলিশ

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২১ জুন ১৬ ১৯:২৪:০৭
সে দিন রাতে কি করেছিল পরীমনির সাথে নাসির-অমি, জানালেন গোয়েন্দা পুলিশ

বুধবার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশিদ বলেন, দুজনেই পরীমনিকে গালে থাপ্পড় মারা ও তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া সেদিন বোট ক্লাবে কি ঘটেছিল? কার কি ভূমিকা ছিল সবকিছুই সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আছে।

ওই রাতের ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী। তিনি বলেন, ‘কালো রঙের একটি গাড়িতে ওই রাত ১২টা ২২ মিনিটে পরীমনি ক্লাবে ঢোকেন, আর বের হন ১টা ৫৯ মিনিটে। বের হওয়ার সময় তাকে দু’জন চ্যাংদোলা করে বের করতে দেখা যায়।’

আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘কালো রঙের গাড়ি থেকে নেমে স্বাভাবিকভাবে হেঁটেই বোট ক্লাবে ঢুকতে দেখা যায় পরীমনিকে। কিন্তু এক ঘণ্টা ৩৭ মিনিট পর তার হাত ও পা ধরে দু’জন ধরাধরি করে সাদা রঙের একটি গাড়িতে তুলে দেন।’

ক্লাবের বাইরের ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ক্লাবে ঢোকার সময় পরীমনি কালো টপস, জিন্সের প্যান্ট পরা ছিলেন। বনি লাল টপস, সঙ্গে জিন্সের প্যান্ট এবং জিমি কালো হাতাকাটা গেঞ্জি ও হাফ প্যান্ট পরা ছিলেন। অমির পরনে ছিল সাদা গেঞ্জি ও গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট। শুধুমাত্র অমি ছাড়া বাকি সবাই মাস্ক পরে ক্লাবে প্রবেশ করেন।

রিসিপশনের ক্যামেরায় তাদের চারজনকে একসঙ্গে বারে ঢুকতে দেখা যায়। তখন রিসিপশন ডেস্কে ছিলেন দুইজন এবং ডেস্কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরও একজন স্টাফ। দেড় ঘণ্টা পর পরীমনিকে অচেতন অবস্থায় কোলে করে দৌড়ে বের হতে দেখা যায় জিমি ও একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে। পেছন আসেন অমি।

পরীমনির অভিযোগ অনুসারে, যেখানে ধর্ষণচেষ্টা ও নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে সেই ‘বারে’ কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। তাই পুলিশের হাতে থাকা ভিডিও ফুটেজে ওই রাতে আসলে কী ঘটেছিল সেই চিত্র নেই।

তবে ওই বারে পরীমনির সঙ্গে থাকা তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি মোবাইল ফোনে ১৫ সেকেন্ডের ধস্তাধস্তির একটি ভিডিও করেছিলেন। এতে ভরাট পুরুষ কণ্ঠে গালমন্দ ও হই-হুল্লোর শোনার কথা বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে