বাজেটের পর দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম
মঙ্গলবার (৮ জুন) প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৩ টাকা বেড়ে ৫২ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এদিন আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। অথচ বাজেটের আগের দিন এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৮ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, মঙ্গলবার নতুন করে বেড়েছে সয়াবিন, ডিম, রসুন ও দেশি আদার দাম।
একদিন আগে অর্থাৎ সোমবার থেকে বেড়েছে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম। ১২০ টাকা কেজি ব্রয়লারের এখন ১৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজেটের আগের ৩০ টাকা হালি ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা। বাজেটের আগে ১০০ টাকা কেজি দেশি আদা, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। বাজেটের আগে বিক্রি হওয়া ৬০ টাকা কেজি রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি।
৫ লিটার বোতলের সয়াবিনের দাম মঙ্গলবার বেড়েছে ২০ টাকা। অর্থাৎ সোমবার যে সয়াবিনের বোতল ৬৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই ৫ লিটারের বোতল মঙ্গলবার বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ টাকা। এছাড়া ১০০ টাকা কেজি মশুর ডালের দাম এখন বেড়ে হয়েছে ১০৫ টাকা।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে গাজর ও মাশরুম আমদানিতে শুল্কহার বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। সেইসঙ্গে গাজর, মাশরুম, কাঁচামরিচ, টমেটো, কমলা ও ক্যাপসিকামের ন্যূনতম শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া বাজেটে শিল্প লবণ আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্ক হার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রক্রিয়াজাত করা মাংস আমদানিতে শুল্কহার বৃদ্ধি ও ন্যূনতম শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এ দুটি পণ্যের দামও বাড়তে পারে। এসব পণ্যে এখন পর্যন্ত বাজেটের প্রভাব খুব একটা না পড়লেও বাজারের চিত্র বলছে, গত ৫-৬ দিনের ব্যবধানে বাজারে অন্তত ১২টিরও বেশি পণ্যের দাম বেড়েছে। যদিও সেটি বাজেটের প্রভাব নয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতারা বলছেন, করোনার কারণে আয় কমেছে সাধারণ মানুষের। তাদের প্রত্যাশা ছিল ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পর অতিপ্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমবে। অস্বস্তিতে থাকা মানুষের মধ্যে একটু স্বস্তি ফিরবে। কিন্তু দফায় দফায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। রাজধানীর মানিক নগর এলাকার বাসিন্দা সেলিম উদ্দিন বলেন, ৩০ টাকা কেজি পেঁয়াজ হুট করে ৫০ টাকা হয়ে গেল। পেঁয়াজের সঙ্গে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে রসুনের দাম। বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে। ডিমের দাম, মুরগির দামও বাজেটের পর বেড়েছে। বেড়েছে সবজির দামও।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট উত্থাপন করেন। বাজেটে চাল, ডাল, তেলের ওপর নতুন করে কর আরোপ করেননি। বরং কৃষিপণ্য এবং খাদ্যপণ্যের বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাজারে ডাল, পেঁয়াজ-রসুন এবং ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঠিকই বেড়েছে।
বাজারের চিত্র বলছে, রাজধানীতে চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি দুই টাকা থেকে ৩ টাকা। আটা-ময়দার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি দুই টাকা। একইভাবে বেড়েছে গরুর মাংস, মাছের দাম।
উল্লেখ্য, বাজেট ঘোষণার পর মুড়ি, সাবান, ব্রয়লার মুরগি, সিলিন্ডার গ্যাস ইত্যাদি পণ্যের দাম কমার কথা থাকলেও কোনও পণ্যের দাম কমেনি।
রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা গেছে, ভালো মানের নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৬২ টাকা কেজিতে। বাজেটের আগে এই চাল বিক্রি হয়েছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। মঙ্গলবার মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৬৫ টাকা কেজিতে। এই চাল বাজেটের আগে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে। একইভাবে ২৮ ও ২৯ ধানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা কেজিতে। এই চাল ৫০-৫২ টাকা কেজি বিক্রি হতো। এছাড়াও ৪৬-৪৭ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া মোটা পাইজাম চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজিতে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন চাল বাজারে উঠলেও মোকাম থেকেই চাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। গোপীবাগ এলাকার চালের পাইকারি ব্যবসায়ী শফিকুল বাসার বলেন, প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। পরিবহন খরচ আগের চেয়ে বেশি হওয়ায় এখন চালের দাম বেশি। তার মতে, নতুন চাল বাজারে আসার পরও চালের দাম বাড়তি।
বাজারে দেখা যায়, চালের পাশাপাশি বেড়েছে আটা ও ময়দার দামও। বাজেট ঘোষণার নতুন করে কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বেড়েছে। ফলে ৩২ কেজির খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকা কেজিতে। প্যাকেট আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা। ঈদের আগে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া প্যাকেট ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা থেকে ৪৬ টাকা কেজি।
খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়। পাম ওয়েল তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে। আর লিটারপ্রতি বোতলের তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫২-১৫৩ টাকায়।
মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা কেজিতে। ১০৫ থেকে ১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে মধ্যম মানের মসুর ডাল।
এদিকে বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ সবজির দাম বেড়েছে। ৫০ টাকার নিচে কোনও সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। বাজেটের আগে ৪৪-৫০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া টমেটো, বেগুন, করলা, পটল, চিচিঙ্গা, ঝিঙা এখন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে । কাঁচা পেঁপে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ টাকা, লেয়ার ২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাংসের পাশাপাশি মুরগির ডিম হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বোর্ড মিটিং শেষ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা
- ব্রেকিং নিউজ: বাংলাদেশে নেমে এলো শোকের কালো ছায়া, ৪৯৭ জন নি*হ*ত, আ*হ*ত ৭৪৭
- আজ ১৮/১২/২০২৪ তারিখ, দেখেনিন আজকের ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- ঢাকার অবস্থা ভ*য়া*ব*হ খারাপ
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০তে উড়িয়ে দিয়ে আইসিসি রেটিংয়ে বড় লাফ বাংলাদেশের, দেখেনিন সর্বশেষ তালিকা
- অবশেষে দুই দিন পর বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট, দেখেনিন আজকের রেট কত
- সৌদি রিয়াল রেটের বিশাল লাফ, দেখেনিন আজকের রেট কত
- এইমাত্র পাওয়া: খুলে গেল চোখ মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস
- ব্রেকিং নিউজ: নি*হত ৮৫৮ জন, আ*হত ১১ হাজার ৫৫১ জন
- সৌদি রিয়াল রেটের বিশাল লাফ, দেখেনিন আজকের রেট কত
- ব্রেকিং নিউজ: হেলিকপ্টার দু*র্ঘ*ট*না*য় ভারতের সেনা প্রধান নি*হ*ত
- এইমাত্র পাওয়া: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিষিদ্ধ করলো ভারত
- সব জল্পনা কল্পনার অবসান, ঘোষাণা দিয়ে দিলেন মুস্তাফিজ
- চট্টগ্রামের পরিস্থিতি থমথমে: ব্যাপক সং*ঘ*র্ষ, ১৫ জন আ*হ*ত
- কমলো সৌদি রিয়াল রেট, দেখেনিন আজকের রেট কত