কপাল পুড়ছে ভারতের, কপাল খুলতে পারে যে ২ দেশের

এমনকি ভারত সরকার আংশিক ছাড় দিলেও অন্তত ২২১ কোটি ভারতীয় রুপি কর হিসেবে প্রদান করতে হবে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বোর্ড বিসিসিআইকে।

টুর্নামেন্ট থেকে ১০ মাস দূরে দাঁড়িয়ে ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ইতোমধ্যে বিকল্প ভেন্যুর কথাও ভেবে রেখেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের জন্য ভারতের বিকল্প হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পরিকল্পনায় রেখেছে আইসিসি।

বিসিসিআই ইতোমধ্যে বেশ কিছু সময়সীমা মিস করেছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ও ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সময়সীমার মধ্যেও বিষয়টি সুরাহা করতে পারেনি। এই সম্মানজনক টুর্নামেন্টটি আয়োজনের ক্ষেত্রে তাই তাদের খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বোর্ডের একজন কর্মকর্তা ভারতীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছেন নতুন সময়সীমা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি।

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্পূর্ণ কর ছাড় দেওয়ার আবেদন করেছে বিসিসিআই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার এই অনুরোধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

পুরো শুল্ক ছাড়ের জন্য আইসিসি দ্বারা নির্ধারিত বেশ কয়েকটি সময়সীমা মিস করায় এখন আইসিসি বিসিসিআইকে দুইটি বিকল্প দিয়েছে। যার একটি হল সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভেন্যু পরিবর্তন করা কিংবা সরকারের করের ক্ষেত্রে ছাড় আদায়ে ব্যর্থ হলে কর পরিশোধ করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা।

কর পরিশোধ করতে হলে আংশিক ছাড়ে ২২৬.৫৮ কোটি ও কোন মওকুফ ছাড়া সর্বোচ্চ ৯০৬.৩৩ কোটি ভারতীয় রুপি ব্যয় করতে হবে।

বোর্ডের কর মওকুফের আবেদনটি এখনো অবিচল যেখানে বোর্ডের সাথে সরকারের সুসংযোগও রয়েছে। সেক্রেটারি জয় শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র এবং কোষাধ্যক্ষ অরুণ সিংহ ধুমাল অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের ছোট ভাই। আর বোর্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তও নিবে অর্থ মন্ত্রণালয়।

২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় শেষ মুহূর্তে মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বাধীন সরকার বিসিসিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করে। কিন্তু ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় নরেন্দ্র মোদি সরকার মাত্র ১০ শতাংশ কর ছাড় দিয়েছিল। যার ফলে বোর্ড যে আয় করেছে তার ২৩.৭৫ মিলিয়ন ডলার আটকিয়েছিল আইসিসি।