ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ঋণী থাকবে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব

২০২১ জানুয়ারি ০১ ১৪:১৩:১১
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ঋণী থাকবে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব

বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের আর সব আসরের মতো এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাধা পড়ে। অবশ্য ইউরো, অলিম্পিকের মতো ক্রিকেটের এই আসরে করোনা শুরু হওয়ার মুহূর্তেই অনিশ্চয়তা জেঁকে ধরেনি। বছরে বড় আসরগুলোর মধ্যে সবার শেষে টুর্নামেন্টটি পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা আসে। এই আসর হবে ২০২২ সালে।

এছাড়া করোনাকে ছাপিয়ে উইন্ডিজ ও পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফর বেশ প্রশংসা পায়। ক্যারিবীয়দের ইংল্যান্ড সফরের মাধ্যমেই স্থবিরতা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে ফিরে।

সফল আইপিএল আয়োজনও ক্রিকেটের সাফল্য। আর বছর শেষে নিউজিল্যান্ড-উইন্ডিজ, ভারত-অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজগুলো ক্রিকেটের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার ছাপ রাখে।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ক্রিকেটের করোনাকে হারিয়ে দেওয়ার সাফল্যগুলো।

শুরুটা স্বাভাবিক ছিল

উহান থেকে তখন ক’রোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বে। তবুও বছরের শুরুতে ক্রিকেট চলছিল স্বাভাবিক নিয়মে। জানুয়ারিতে একই সঙ্গে মাঠে চলে ক্রিকেটের কুলীন চার দল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। ৩-৭ জানুয়ারি চার দলেরই টেস্ট শুরু হয়েছিল। সিডনিতে অজিরা ২৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে তিন টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে কিউইদের। ওদিকে ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ১৮৯ রানে জিতে সমতা আনে। এরপর ১৬-২০ জানুয়ারি ও ২৪-২৮ জানুয়ারি টানা দুই টেস্ট জিতে ৪ ম্যাচের সিরিজ জেতে ৩-১ এ।

এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ ড্র হয় এবং সমান ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড ২-১ এ জেতে। জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর করে ভারতও। ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৫-০ তেই জেতে সফরকারীরা। দুটি ম্যাচে সুপার ওভারের রোমাঞ্চ ছড়ায়। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ৩ ওয়ানডে ও ২ টেস্টের দুটো সিরিজেই ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করে কিউইরা।

জানুয়ারিতে পাকিস্তান সফর করে বাংলাদেশ। ওই সফরে করোনার চেয়ে নিরাপত্তাই বেশি আলোচিত ছিল। ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে জিতে যায় পাকিস্তান। এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টিতে। প্রায় ১০ দিনের বিরতির পর টেস্ট সিরিজের এক ম্যাচ খেলতে আবার পাকিস্তান যায় বাংলাদেশ। ম্যাচে ইনিংস ও ৪৪ রানের ব্যবধানে জেতে স্বাগতিকরা।

ক’রোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে মার্চে। তখন দুটি ওয়ানডে সিরিজ চলছিল। অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগতিকদের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের। আর ভারতে খেলতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুটি সিরিজই স্থগিত করে দেশে ফিরে যায় নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। করোনার আগে ১৩ মার্চ সবশেষ ম্যাচ হয় অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে।

উইন্ডিজের ইংল্যান্ড সফর

ক’রোনায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পঞ্জির প্রায় অর্ধেক নষ্ট হয়েছে। তবুও লকডাউন-কোয়ারেন্টাইন এসব নিয়ম সামনে এনে খেলাটিকে মাঠে ফেরানোর চেষ্টা চলছিল। সেই ধারাবাহিকতায় একমাত্র সফল দল ইংল্যান্ড। হোম সামার নষ্ট হতে দেয়নি তারা। ঘরের মাঠে মে-জুনে সিরিজ ছিল উইন্ডিজের বিপক্ষে। করোনায় তা পিছিয়ে যায় জুলাইতে। অনেক কাঠখড় পুরিয়ে ১১৭ দিন অপেক্ষার পর ব্যাটে-বলের লড়াই অবশেষে আলোর মুখ দেখে।

এই কঠিন সময়ে প্রথম দল হিসেবে কোনো দেশ সফরে গিয়ে দারুণ প্রশংসিত হয় উইন্ডিজ। যদিও মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এ সিরিজ খেলতে রাজি হওয়ার খবর ওঠে উইন্ডিজের বিপক্ষে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ক্যারিবীয় বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ। তিনি জানান, করোনায় উইন্ডিজ বোর্ডের অচলাবস্থা কাটাতে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের কাছ থেকে ধার নেন তারা। যাই হোক, কঠিন সময়ে সাহসী উইন্ডিজের চার্টার্ড বিমানে করে সফর করতে আসা বীরত্বের। যে কারণে এ বছর ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার পায় উইন্ডিজ।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৪ উইকেটে জিতে তাক লাগিয়ে দেয় জেসন হোল্ডারের দল। ৩২ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা জাগায় তারা। কিন্তু পরের দুই টেস্টে ১১৩ ও ২৬৯ রানে জিতে সিরিজে ফেরে ইংল্যান্ড।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে