ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

করোনার ফলে ক্রিকেটারদের জন্য যা যা করবো বিসিবি

২০২১ জানুয়ারি ০১ ১০:১৪:৪৯
করোনার ফলে ক্রিকেটারদের জন্য যা যা করবো বিসিবি

তবে জানা গেছে শুরুতেই তা পাবে সম্মুখ যোদ্ধারা। এরপর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ধীরে ধীরে সকল মানুষকে এই টিকার আওতায় আনা হবে। বিশেষ করে দেশের খেলাধুলা পুরোপুরি চালু করতে খেলোয়াড়দের আগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে করোনা মহামারির কারণে দেশের ক্রিকেটের বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। একের পর এক দেশি ও আন্তর্জতিক ক্রিকেট আসর বাতিল হয়েছে। ক্রিকেট মাঠে ফেরাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) বিশেষ ঘরোয়া আসর আয়োজন করতে হয়েছে। জানা গেছে খেলা না হওয়ায়

কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে বিসিবি। তাই নতুন বছর ক্রিকেটকে করোনামুক্ত করতে বিসিবি ভ্যাকসিন প্রয়োগে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রয়োজনে কিনে এনে হলেও এই টিকা প্রয়োগের বিষয়ে ভাববে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক ও অর্থনৈতিক কমিটির প্রধান ইসমাঈল হায়দার মল্লিক। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার দিবো। এছাড়াও ক্রিকেটকে সচল রাখতে এই ভ্যাকসিনের আওয়ায় আনা হবে বিসিবি সংশ্লিষ্ট সকলকে। সরকার যে ভ্যাকসিন দেবে তা যদি অপ্রতুল হয় আমরা কিনে আনবো।’

অন্যদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন নতুন বছরে তাদের অন্যতম পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ভ্যাকসিন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গেই ভাবছি। আমাদের এটি নিয়ে পরিকল্পনা আছে। কারণ, ক্রিকেট শুরু হয়ে গেছে। এটিকে সচল রাখতে হলে টিকার বিকল্প নেই। আমরা দেশের সকল ক্রিকেটারকে আগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই টিকার আওতায় আনবো। করোনা ভাইরাসের কারণে যেন আমাদের ক্রিকেট আর ব্যাহত না হয়।’ বিসিবি যেহেতু সরকারের নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান সেই কারণে ভ্যাকসিন বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে এমনটাই অনুমেয়। যদি

সরকারে দেয়া ভ্যাকসিন সময় মতো না পাওয়া যায় বা অপ্রতুল হয় সেই ক্ষেত্রে বিসিবির সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে নিজামুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সরকার ভ্যাকসিন আনবে। যদি আমরা সেখান থেকে পাই সেটি ভালো। তবে সেটি না হলে কী করণীয় তা এখনই বলতে পারছি না। তবে অবশ্যই আমরা বসে থাকবো না। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো। কেনার প্রয়োজন হলে সেটি সেই সময়ই সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।’ এছাড়াও বিসিবি’র নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ক্রিকেটারদের ভ্যাকসিনপ্রাপ্তি নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলে ক্রিকেটারই নয়, নারীরাও এই ভ্যাকসিন আগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবে। আশা

করছি সরকার দ্রুতই নতুন করোনার এই প্রতিষেধক বাংলাদেশে নিয়ে আসবে। আমি বিশ্বাস করি দেশের ক্রিকেটের কথা অগ্রাধিকার দিয়েই ভাববেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমার মনে হয় নতুন বছরে দ্রুতই এই টিকার আওয়ায় আনতে পারবো দেশের নারী-পুরুষ সব ক্রিকেটারকে।’ গত বছর মার্চ থেকে বাংলাদেশে সব ধরনের ক্রিকেট স্থগিত হয়েছিল করোনা মহামারির কারণে। গেল বছর অক্টোবরে দফায় দাফয় করোনা টেস্ট করে ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষা বলয়ে বন্দি রেখে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে মাঠে গড়ায় ক্রিকেট। তিন দলের এই টুর্নামেন্ট সফল হলে বিসিবি আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি। এই আসরে সফলভাবে অংশ নেয় পাঁচ

দলের প্রায় ৮০ জন ক্রিকেটার। এবার নতুন বছর টাইগাররা আন্তর্জতিক ক্রিকেটে ফিরছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। এবারও দুই দলকে দফায় দফায় করোনা টেস্ট দিয়ে থাকতে হবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। সিরিজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ক্রিকেটারই হোটেল ও মাঠের বাইরে যেতে পারবে না। চিকিৎসকরা বলেন, এমন বন্দি পরিবেশ ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই বিসিবি দ্রুতই ভ্যাকসিন এনে ক্রিকেটারদের স্বাভাবিক খেলায় ফেরাতে মরিয়া।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে