সাংসদ হাজি সেলিমের ছেলের বাসায় র্যাবের অভিযান

আজ রোববার দুপুর থেকে হাজি সেলিমের বাসা ঘিরে রাখেন র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। পরে তাঁরা বাসায় প্রবেশ করেন। বাসা থেকে হাজি সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে আটক করা হয়। ইরফান সেলিম গতকাল রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি। ওই মামলার আসামি হাজি সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ আজ দুপুরে চকবাজারে ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অভিযান চালাচ্ছি। অভিযান এখনো চলছে। মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। অভিযান শেষে আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারব।’
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গতকাল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ নীলক্ষেত থেকে বই কিনে তাঁর স্ত্রীসহ মোটরসাইকেলে করে ক্যান্টনমেন্টে যাচ্ছিলেন। একটি জিপ যার মধ্যে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো ছিল। ওই গাড়িটি পেছন থেকে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পরে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে পরিচয় দেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ। তিনি ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি জানতে চান। একপর্যায়ে গাড়িতে থাকা লোকজনের সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয় এবং উনি আহত হন। এ নিয়ে রাতে জিডি করার পর সকালে তিনি
ধানমণ্ডি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এটা মূলত মারধরের ঘটনা। মামলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তাকে নিয়ে ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেছি। আমরা এখানে সতর্কতার সঙ্গে সকল টেকনোলজি ব্যবহার করে এবং নথি সংগ্রহ করেছি। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামি মিজানকে দ্রুত আদালতে পাঠানো হবে। এ ছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হাজি সেলিমের ছেলে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন, তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে।’ এজাহারে হত্যা হুমকির কথা রয়েছে বলে জানান ডিসি সাজ্জাদ।
এর আগে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী এনটিভি অনলাইনকে জানান, গতকাল রাতের ঘটনায় আজ সোমবার সকালে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৬। এ মামলার বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওয়াসিফ আহমেদকে রক্তাক্ত দেখা যায়। ভিডিওতে তাঁকে মারধর করে তাঁর দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে দাবি করলেও জিডিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়নি।
রাজনীতি - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বিসিবির নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ ৫ জন
- প্যারোলে মুক্তি পেল আওয়ামী লীগ নেতা
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি করলো এনসিপির প্রার্থীরা
- মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন নাম দিল আইসিসি
- নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সরাসরি জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনা ও মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের তুলসীর বৈঠক নিয়ে যা জানা গেল
- দুই আসন থেকে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- আজ বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার