ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১

সৌদি প্রবাসীদের ভোগান্তি: কফিলের সাড়া কম, শঙ্কায় প্রবাসীরা

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ অক্টোবর ১১ ২০:২০:৫৫
সৌদি প্রবাসীদের ভোগান্তি: কফিলের সাড়া কম, শঙ্কায় প্রবাসীরা

বাকিদের কাজে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনাহীন ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা তাদের আশ্বস্ত করতে পারছে না। এ অবস্থায় সৌদি আরবের সঙ্গে সরকারের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন প্রবাসীরা।

এদিকে সৌদি এয়ারলাইন্স ও বিমান বাংলাদেশ থেকে প্রবাসীদের টিকিট ইস্যু অব্যাহত আছে। তবে নানা ভোগান্তি রয়ে গেছে এখনও। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিসের সামনে অন্যান্য দিনের মতোই প্রবাসীদের ভিড় দেখা যায়।

এদিনও অনেক প্রবাসী ফুটপাতে বসে আছেন। নেত্রকোনার ইউনূস মিয়া ফুটপাতে বসে ছিলেন চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট। তিনি বলেন, আমার ইকামার মেয়াদ শেষ। কফিলের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করেছি, টাকাও দিতে চেয়েছি। কিন্তু ইকামা বাড়াতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এখন আমি কী করব! কোথায় যাব? এখানে এসেছি অন্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে। চোখেমুখে অন্ধকার দেখছি।

এদিন টোকেন থাকা বা না থাকার কোনো বিষয় লক্ষ্য করা যায়নি। ফরম পূরণের পর এসএমএস পেল কি পেল না তারও কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। যাদের ভিসার মেয়াদ ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে তাদের অনেককেই টিকিট দিয়েছে সৌদি এয়ারলাইন্স। রিটার্ন টিকিট যারা কেটে এসেছেন তাদেরকে অতিরিক্ত কোনো অর্থ খরচ ছাড়াই টিকিট দেয়া হয়েছে।

প্রবাসী হায়দার হোসেন বলেন, যাদের কফিল ভালো তারা ভিসা-আকামার মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছি টাকা খরচ করে। কিন্তু এই সংখ্যাটা ৫ শতাংশের বেশি না। হাজার হাজার সৌদি প্রবাসী আছেন যাদের ভিসা-আকামার মেয়াদ শেষ। কফিলকে বলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

অনেকে আবার এমনও আছেন বছরের পর বছর কাজ করছেন কিন্তু তার কফিল কে জানেন না। এই মানুষগুলো কীভাবে ফেরত যাবেন আমরা জানি না। আমরা সরকারকে অনুরোধ করব সৌদি সরকারের সঙ্গে দ্রুত কথা বলে এ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে। এই মানুষগুলোর ক্ষতি মানে দেশেরই ক্ষতি।

তিনি আরও বলেন, সৌদি এয়ারলাইন্স এখন ভিসার মেয়াদ যাদের বেশিদিন নেই তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিট দিচ্ছেন। এই নিয়ম যদি আগে চালু করত তাহলে মেয়াদ থাকতে থাকতেই কয়েক হাজার প্রবাসী ফেরত যেতে পারতেন। উনাদের কাউন্টার সংখ্যা কম। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ক্লান্ত। দিন নেই রাত নেই এখানে এসে বসে থাকি।

মো. আবদুল হাশেম বললেন, আমি সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিটেই দেশে এসেছিলাম। কিন্তু রিটার্ন টিকিট কাটা ছিল না। এখন এখানে এসে জানতে পারলাম প্রায় ১ লাখ টাকা লাগবে একটা রিটার্ন টিকিটের জন্য। তাও অবার লোক ধরতে হবে।

আমাদের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। শুক্রবার মতিঝিলে বিমান অফিস থেকেও সৌদি প্রবাসীদের টিকিট দেয়া হয়। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও ভিসার মেয়াদ যাদের তুলনামূলক কম রয়েছে তাদেরকে টিকিট দেয়া হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে