ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এই মাত্র পাওয়াঃ মালয়েশিয়া ছেড়েছেন ৪০ হাজার শ্রমিক

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ সেপ্টেম্বর ১৩ ১৭:৩৩:৪৫
এই মাত্র পাওয়াঃ মালয়েশিয়া ছেড়েছেন ৪০ হাজার শ্রমিক

মালয়েশিয়ার সামাজিক সুরক্ষা সংস্থার (সোকসো) কর্মসংস্থান বীমা ব্যবস্থার (ইআইএস) পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে দেশব্যাপী ৭৯,৭৩৭ জন শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন।

এ সময়ে বিদেশি শ্রম নির্ভরতা কমিয়ে প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে ৪৭ হাজার ৩৩২ জন স্থানীয় কর্মী নিয়োগ দিয়েছে মালয়েশিয়া। গত ১৫ জুন থেকে এ পর্যন্ত পেনজানা প্রকল্পের আওতায় ৭,১৯৬টি কোম্পানিতে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম রারাভানান।

এদিকে গত মার্চ থেকে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শ্রমনির্ভর শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি বিদেশি শ্রমিক নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। ১১ সেপ্টেম্বর ‘দ্য মালয়েশিয়ান রিজার্ভে’ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদ্দিনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

তাতে বলা হয়, গত সপ্তাহে সংসদ সিনেটর দাতুক পল ইগাইয়ের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদ্দিন বলেন, ‘ইমিগ্রেশন বিভাগের রেকর্ডে দেখা গেছে, ১ লা মার্চ থেকে ৪০,৯৯৪ জনকে চেকআউট মেমোর মাধ্যমে বিদেশি কর্মীরা নিজ নিজ দেশে ফিরেছেন’।

হামজা বলছেন, ‘ইমিগ্রেশন বিভাগ এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ১.৭১ মিলিয়ন অস্থায়ী কর্মসংস্থান ভিজিট পাস করেছে। বিভাগটি গত বছর ১.৯ মিলিয়ন পাস ইস্যু করেছিল, তবে মন্ত্রী অনিবন্ধিত কর্মীদের সংখ্যা কত তা নিশ্চিত করেছেন’।

ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩-এর ১১-এর নিয়ম অনুসারে সকল বিদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে অস্থায়ী কর্মসংস্থান ভিজিট পাস করতে হবে।

যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই তাদের ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। অনুমোদিত কোটার ভিত্তিতে বিদেশি কর্মীদের উৎপাদন, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, পরিষেবা, কৃষি এবং খনির মতো খাতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। হামজা বলেছেন, ‘মালয়েশিয়ায় অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের তাড়াতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

গত বছর দ্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মালয়েশিয়ার মোট শ্রমশক্তির প্রায় ১৫.৭ মিলিয়ন বিদেশি কর্মী রয়েছেন। মালয়েশিয়ার নিবন্ধিত বিদেশি কর্মসংখ্যার ৪০ শতাংশ ইন্দোনেশিয়া, তার পরে নেপালি ২২ শতাংশ এবং বাংলাদেশি ১৪ শতাংশ রয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘৭ শতাংশ কেবলমাত্র গৃহকর্মী হিসেবে নিযুক্ত রয়েছে, যদিও বেশিরভাগ লোক প্রাথমিক কাজ বা মেশিন অপারেশন এবং উৎপাদন ৩৬ শতাংশ, নির্মাণ ১৯ শতাংশ, বৃক্ষরোপণ ১৫ শতাংশ এবং পরিষেবা ১৪ শতাংশ’।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে