ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মসজিদে বিস্ফোরণ দুর্ঘটনায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন একজন

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৯:৫৬:৩৭
মসজিদে বিস্ফোরণ দুর্ঘটনায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন একজন

তিনি জানান, বিস্ফোরণে মামুনের শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো। তবে তার শ্বাসনালী দগ্ধ হয়নি। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় আজ বিকেলে চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে তাকে ২ সপ্তাহ পর আবার ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আসতে বলা হয়েছে। এছাড়া কোনো সমস্যা দেখা দিলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

ডাঃ সেন বলেন, বিস্ফোরণের পর এখানে ৩৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছিলো। এদের মধ্যে ২৭ জন মারা গেছেন। আর এই প্রথম এক রোগীকে ছাড়া হলো। বাকি ৯ জন এখনও আইসিইউ ও পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে ছাড়পত্র পাওয়া দগ্ধ মামুনের ভায়রা মোসলেম উদ্দিন জানান, মামুনের বাবা মৃত লতিফ। স্ত্রী রুবি বেগমকে নিয়ে তল্লা এলাকায় থাকতেন। তার বাড়ি পটুয়াখালির গলাচিপায়। নারায়ণগঞ্জে কাউসার গার্মেন্টস চাকরী করতেন তিনি। তার কোনো সন্তানাদি নেই।

তিনি বলেন, মামুনের দুই পা, বাম হাত, চুল, ঠোট, নাক, বাম কান ও গলায় কিছুকিছু অংশ দগ্ধ হয়েছিলো। রোববার রাতে তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছিলো। আজ দুপুরে তার পোড়া যায়গায় ড্রেসিং করা হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান আমাদের। তবে তার ঘা এখনও শুকায়নি। ঘা শুকাতে সময় লাগবে।

স্ত্রী রুবি বেগম বলেন, ঘটনার রাতে লোকজন তাকে ধরাধরি করে বাসায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতাল থেকে ওষুধপত্র লিখে দিয়েছেন। তাকে এখন নারায়ণগঞ্জের বাসায় নিয়ে যাবো।

গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর দগ্ধ ৩৭ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে