ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সদ্য সংবাদ

যে সকল প্রবাসীদের কর্মচুক্তি আর নবায়ন করবে না সৌদি আরব সরকার

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ সেপ্টেম্বর ০৬ ১৯:১৯:৪২
যে সকল প্রবাসীদের কর্মচুক্তি আর নবায়ন করবে না সৌদি আরব সরকার

সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক সার্কুলারে বিষয়টি জানানো হয়েছে।তবে এক্ষেত্রে অসামান্য ও উচ্চ দক্ষ পেশাদারদের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার কথাও বলা হয়েছে সার্কুলারটিতে।

কারা পেশাগতভাবে দক্ষ তা সৌদি কর্তৃপক্ষ ঠিক করবেন এবং এধরনের দক্ষতা সৌদি নাগরিকরা অর্জন না করায় এমন প্রবাসিদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে সৌদি কর্তৃপক্ষ।সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের ওই সার্কুলারে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রবাসী স্বাস্থ্যকর্মীদের স্থলে সৌদি নাগরিকদের নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সার্কুলার জারি করেছেন মন্ত্রণালয়ের আন্ডারসেক্রেটারি আবদুল রহমান আল আইবান। গত জুলাইতে সৌদি আরবে প্রথমবারের মত ২০ শতাংশ ফার্মাসিস্ট পদে কেবল মাত্র সৌদি নাগরিকদের নিয়োগ শুরু হয়।

আরো পড়ুন…ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আদিবাসী তরুণ ধনঞ্জয় মাঝি স্কুটারে (বাইক) করে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে ১২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছেন। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মূলত স্ত্রী সোনি হেমব্রমের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতেই এই দুঃসাধ্য কাজ করেছেন তিনি।

শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেতে ভারতে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন নামের একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সোনির পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে।করোনাভাইরাসের কারণে এখনও সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক না হওয়ায় বিপাকে পড়ে যান তিনি। দারিদ্র্যের কারণে ট্যাক্সি ভাড়া করে যাওয়াও সম্ভব ছিল না তার পক্ষে। তবে স্বামী ধনঞ্জয় তার শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়েছেন।ধনঞ্জয় পেশায় একজন রাঁধুনি। কিন্তু লকডাউনের জেরে এখন পুরোপুরি বেকার হয়ে পড়েছেন।

এত পথ পাড়ি দেওয়ার জ্বালানির টাকা জোগাড় করাও তার জন্য বেশ কঠিন ছিল। স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে জ্বালানির টাকা জোগাড় করতে হয়েছে। ঝাড়খণ্ড থেকে সফর শুরু করে বিহার, উত্তরপ্রদেশ হয়ে গ্বালিয়রে পৌঁছান তারা।ধনঞ্জয় জানান, তিনদিন ধরে স্কুটার চালিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেছেন। তবে তার এই সফর খুব সুখকর ছিল না। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা যেমন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল তেমনি পরীক্ষাকেন্দ্রেও যথাসময়ে পৌঁছনোর প্রয়োজন ছিল। কোথাও প্রবল বৃষ্টির মুখে পড়তে হয়েছে। কখনও বিহারের বন্যাকবলিত এলাকার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। মুজফফরপুরে রাত কাটিয়েছেন একটি লজে। আবার লখনউয়ে রাত কাটাতে হয়েছে টোল প্লাজায়। এভাবেই তিনদিন ধরে সফর করেছেন ধনঞ্জয়।

ধনঞ্জয়ের স্ত্রী সোনি বলেন, ‘অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। একটা সময় এমনও হয়েছে যে পিঠে ও কোমরের ব্যথার জন্য স্কুটার থেকে নেমে হেঁটেছি। প্রবল বৃষ্টিতে গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছি। সব কষ্ট সহ্য করেও স্বামীর অনুপ্রেরণায় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে পরীক্ষা দেওয়াটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পেরেছি। এখন শিক্ষিকা হয়ে স্বামীর স্বপ্ন পূরণ করাই একমাত্র লক্ষ্য।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে