ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সদ্য সংবাদ

মালয়েশিয়া থেকে চাঁদা তুলেও দেশে ফেরানো গেলো না অসুস্থ প্রবাসীদের

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ আগস্ট ১০ ১৯:৪৫:০৪
মালয়েশিয়া থেকে চাঁদা তুলেও দেশে ফেরানো গেলো না অসুস্থ প্রবাসীদের

এসময় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেক প্রবাসীর।

সম্প্রতি দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কমিউনিটি সংগঠন থেকে অসহায় মৃত্যু পথযাত্রীদের দেশে পাঠানোর জন্য চাঁদা তুলে সব প্রক্রিয়া শেষ করে এয়ারপোর্টে নিয়ে গেলে এয়ার এশিয়ার কাউন্টার থেকে বডিং না করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

কাউন্টার কর্মরত এয়ার এশিয়ার কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি ট্রাভেল পাস ধারীদের প্রবেশের। যার কারণে আমরা ট্রাভেল পাস যাত্রীদের পরিবহনের অনুমতি দিচ্ছে না।

এ ব্যাপারে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ রাহাদুজ্জামান। তার দেওয়া ফেইসবুক পোস্ট প্রবাসমেইল-এর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

এ দায় কার?? মনটা সত্যি ভাল নেই।

দুটি মৃত্যু পথযাত্রী রোগী নিয়ে আজ এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত আসতে হল, হাইকমিশনের সঠিক তথ্য এবং বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের আইন অনুযায়ী কাজ না করার জন্যে, এই রোগী দুটির কিছু হলে তার দায়ভার আসলে কে নিবে? কে এর জন্য দায়ী হবে, যেখানে ট্রাভেল পাস, এস পি সব করা হয়েছে, ভিক্ষা করে টাকা জোগার করে তাদেরকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

হাইকমিশনের তথ্য অনুযায়ী যে কোন এয়ারলাইন্সের টিকেট কেটে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে আর সে কারনে এয়ার এশিয়া এয়ারলাইনস এর টিকেট কাটা হল, কিন্তুু সন্ধ্যা ৭ টা থেকে KLIA 2 এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করেও মৃত্যুপথ যাত্রী রোগী দুটিকে ফ্লাইটে উঠাতে পারলাম না। মনটা এত খারাপ হল আর মনে হচ্ছিল প্রবাসীরা সত্যি অসহায় নিয়মের টানা পুরনোতে। অথচ বড় বড় অফিসারগণ এই অসহায় প্রবাসীদের খেটে খাওয়া ঘামের টাকার বিনিময়ে বেতন নিচ্ছেন, কিন্তু তাদের জন্য সঠিক কাজটি করতে যে কবে তেনাদের মর্জি হবে আল্লাহ ভাল জানেন।

কাউন্টার ম্যনাজারের একটি ই ভাষ্য ছিল ট্রাভেল পাস দিয়ে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন গ্রহন করবে না, তাই তারা দিতে পারবে না, তারা বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন এর পারমিশন চাচ্ছিল, হয়ত বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কতৃক একটি পারমিশন লেটার থাকলে আজ এ অবস্থা হত না। এ দায়িত্বটা আসলে কার??

গত এক মাস যাবৎ নাজমূল ইসলাম বাবুল ভাই টাঙ্গাইলের রোগী টাকে চিকিৎসা করিয়ে আসছেন নিজের দায়িত্বে, পরবর্তীতে ব্রাম্মণবাড়িয়া, নবীনগরের রোগীটিকে নিয়ে গত ১৫ দিন যাবৎ আমরা কাজ করে চলছি দুটো রোগীকে দেশে পাঠানোর জন্য, যেখানে জড়িত ব্রম্মাণবাড়িয়া জেলা এসোসিয়েশন মালয়েশিয়া পরিবার। কেননা একজনের হার্ড ব্লক অপরজনের একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে লিভারও নষ্ট হওয়ার পথে, যে কোন সময় একটি দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আমরা বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়া সহ উর্ধতন কর্মকর্তা গণের নিকট প্রশ্ন রাখতে চায় এত কষ্ট করে আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে হাজার হাজার টাকা খরচ করে কমিউনিটি লোকজনের সহায়তায় দুটি রোগী কে পাঠাতে ব্যার্থ হওয়ার দায় কার হওয়া উচিত????????!

তার এই পোস্টে অনেকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কমেন্ট করেছেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে