ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সদ্য সংবাদ

চরম ক্ষতির মুখে মালয়েশিয়া, সংকটের মুখে প্রবাসীরা

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ আগস্ট ০৯ ২১:২০:০৪
চরম ক্ষতির মুখে মালয়েশিয়া, সংকটের মুখে প্রবাসীরা

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎপাদন ৫ শতাংশ কমে আসার বিপরীতে চলতি বছরের জুলাইয়ে মালয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েল রফতানি বেড়েছে। এর জের ধরে দেশটিতে পণ্যটির মজুদে পতন দেখা দিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক জরিপভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স ও স্টার অনলাইন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুলাই শেষে মালয়েশিয়ায় সব মিলিয়ে ১৬ লাখ ৭০ হাজার টন পাম অয়েল মজুদ রয়েছে। আগের মাসের তুলনায় দেশটিতে পাম অয়েল মজুদ কমেছে ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

২০১৭ সালের জুনের পর এটাই মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের সর্বনিম্ন মাসভিত্তিক মজুদের রেকর্ড।

মাসভিত্তিক মজুদে এ পতনের পেছনে অন্যতম কারণ মালয়েশিয়ার পাম অয়েল উৎপাদনে মন্দা ভাব বজায় থাকা। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাইয়ে দেশটিতে সব মিলিয়ে ১৭ লাখ ৯০ হাজার টন পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছে।

“আগের মাসের তুলনায় দেশটিতে পাম অয়েল উৎপাদন কমেছে ৫ শতাংশ। চলতি বছরের মে মাসের পর জুলাইয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদনে মন্দা ভাব দেখা গেছে।”

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাম অয়েল উৎপাদনের ভরা মৌসুমে প্রবেশ করেছে মালয়েশিয়া। বছরের এ সময়টায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত পাম ফলের উৎপাদন বাড়ায়। উৎপাদিত পামবীজের মান হয় বেশ ভালো। এ কারণে অন্যান্য বছর এ সময়টায় মালয়েশিয়ার পাম অয়েল উৎপাদন খাতে চাঙ্গা ভাব বজায় থাকে।

তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে মালয়েশিয়ার পাম বাগানগুলোও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। এ সংকটের কারণে বিঘ্ন ঘটেছে পাম উৎপাদন ও সংগ্রহে। এর প্রভাব পড়েছে জুলাইয়ে দেশটিতে পাম অয়েলের সামগ্রিক উৎপাদনে। শ্রমিক সংকটের জের ধরে এ সময় দেশটিতে পাম অয়েলের উৎপাদন আগের মাসের তুলনায় ৫ শতাংশ কমে এসেছে।

তবে উৎপাদন কমলেও গত মাসে মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েলের রফতানি ছিল বেশ চাঙ্গা। রয়টার্সের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাইয়ে মালয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১৭ লাখ ৪০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে। আগের মাসের তুলনায় দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি বেড়েছে ২ শতাংশ। একদিকে শ্রমিক সংকটের জের ধরে উৎপাদন আগের মাসের তুলনায় ৫ শতাংশ কমে আসা, অন্যদিকে করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে রফতানি আগের মাসের তুলনায় ২ শতাংশ বৃদ্ধি—এ দুইয়ের জের ধরে গত মাসে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মাসভিত্তিক মজুদ দুই বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে।

তবে এগুলো সবই জরিপভিত্তিক বেসরকারি হিসাব। জুলাইয়ে দেশটির পাম অয়েল উৎপাদন, রফতানি ও মজুদের সরকারি হিসাব ১০ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে