ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

আইপিএলে নিজের সমর্থন দলের নাম জানালেন জাহানারা আলম

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ আগস্ট ০৮ ১৭:৩৫:০৪
আইপিএলে নিজের সমর্থন দলের নাম জানালেন জাহানারা আলম

আপনার নাম আর বাংলাদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার হাসিবুল হোসেন শান্তর নাম এক বন্ধনীতে। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফির ফাইনালে জেতার জন্য ১ বলে ১ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। শান্ত জিতিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ ফাইনালে প্রায় একই চিত্রনাট্য। ভারতের বিরুদ্ধে শেষ বলে জেতার জন্য দরকার ছিল দু’রান। এই অবস্থায় স্নায়ু ঠিক রেখে দেশকে জেতালেন কী ভাবে?

কঠিন পরিস্থিতিতে অনেকেই ঘাবড়ে যায়। আমি সহজে ভেঙে পড়ি না। দারুণ কঠিন পরিস্থিতিতে আমার নার্ভ শান্তই থাকে। বাংলাদেশের বহু কঠিন ম্যাচে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে আমিই এগিয়ে গিয়েছি। বোলিংয়ের সময়েও কঠিন পরিস্থিতিতে আমাকে বল করতে হয়েছে। ফিল্ডিংয়ের সময়ে মিড উইকেট, লং অন— এ সব জায়গায় আমাকে ফিল্ডিংয়ের জন্য দাঁড় করানো হয়। ওই সব অঞ্চলে অনেক ক্যাচ আসে। এশিয়া কাপের সময়ে আমাদের কোচ ছিলেন দেবিকা পালশিকার আর অঞ্জু জৈন। কঠিন পরিস্থিতিতে ওঁরা আমাকে নামতে বলেন। সে দিনের ওই ম্যাচে খুব কঠিন পরিস্থিতিতেও আমি পজিটিভ ছিলাম। আমার মাথায় ছিল, কিছু একটা করতে হবেই। দেবিকা-অঞ্জু ম্যাম আমাকে দৌড়ে রান নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন। দুই উইকেটের মধ্যে আমি খুব দ্রুত দৌড়তে পারি। এমনকি মারার দরকার পড়লে আমাকে মারতে হবে, এটা ভেবেই আমাকে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল। ঠিক এক বলে দুই রান যখন দরকার, তখন কোচের নির্দেশ নিয়ে দ্বাদশ ব্যক্তি এসে আমাকে বলল, ব্যাটে বল লাগাতেই হবে। ক্যাপ্টেনকে (সালমা খাতুন) বললাম, ব্যাটে বলে ঠিকই ইমপ্যাক্ট হবে। আপনি দুই রানের জন্য দৌ়ড়বেন। সেই মুহূর্তে আমি একটুও ভয় পাইনি। অনেক রকমের চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমি মনে মনে স্থির করে ফেলেছিলাম, ডাইভ দিয়ে আমাকে ক্রিজে ঢুকতে হবে। কারণ আমি দুই রানের জন্য দৌড়বো। সেই মতোই হরমনপ্রীতের বলটা মিড অনে মেরে মরিয়া হয়ে দৌড়ই।

২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারানোর পরে একটা স্কুটি উপহার পেয়েছিলেন। সেই স্কুটিটা মাত্র এক দিন চালালেন। এখন কোথায় সেই স্কুটিটা? মাত্র এক দিন চালিয়েই বন্ধ করে দিলেন কেন?

(হাসি) আমি এক দিনও চালাইনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে সেই উত্তেজক ম্যাচে বাংলাদেশকে জেতানোর পরে স্কুটিটা উপহার হিসেবে পেয়েছিলাম। আমি ঢাকায় থাকি। ঢাকায় চলাফেরার সুবিধার জন্য স্কুটি হলে ভাল হয়। সেই কারণেই আমাকে উপহার হিসেবে স্কুটিটা দেওয়া হয়েছিল। এশিয়া কাপের পরেই ওয়ার্ল্ড কাপ ছিল। আমি নিজের ক্রিকেট নিয়ে একটু বেশি মাত্রাতেই সচেতন। আমি চাইনি স্কুটি চালাতে গিয়ে চোটের কবলে পড়ি। সেই কারণেই আর ঝুঁকি নিইনি। ভেবেছিলাম বিশ্বকাপের পরে স্কুটি চালানো শিখে নেব। মোটরসাইকেল রাইড আমার খুবই পছন্দের। এক বার স্কুটি চালানো প্র্যাকটিস করতে গিয়ে পড়েই গেলাম। আঙুলে চোট লেগেছিল। সেই ঘটনার পরে আমি আর স্কুটি চালানো শিখিনি। স্কুটিটা বাড়িতেই রয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ