প্রবাসীদের দেশে টাকা পাঠানো নয়ে মুখ খুললেন প্রবাসী বিশেষজ্ঞরা

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের মহামারী সত্ত্বেও আলোচ্য সময়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি।
দেশের ইতিহাসে একক মাসে এর আগে কখনো এত বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ায় প্রবাসীরা এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছেন। ফলে প্রতিনিয়তই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলছেন, ‘রেমিট্যান্সে দেশের এ অনন্য রেকর্ডে প্রবাসীদের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গত অর্থবছরের শুরু থেকে প্রবাসীদের প্রেরিত আয়ের ওপর ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত আছে; যার ফলে গত বছর ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি অর্থবছরে ৩-৫ বিলিয়ন ডলার বাড়তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
“সামনের দিনে রেমিট্যান্স বৈধ পথে আনতে যত কৌশল অবলম্বন করতে হয় তা আমরা করব। দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর মমত্ববোধ রয়েছে প্রবাসীদের। এজন্য তাদের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে যত বাধা রয়েছে তা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও শুধু জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এ কঠিন সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে। অর্থনীতির চাকা বেগবান রাখতে বড় অবদান রাখছেন প্রবাসীরা। গত জুনের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আর জুলাইয়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার।
পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসে এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ৩০ জুন, ২০২০-এ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬ দশমিক ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; যা তখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে ছিল সর্বোচ্চ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে তা পৌঁছেছে ৩৭ দশমিক ২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রবাসমেইল-কে বলেন, ‘এমন সংকটকালেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে যা নিঃসন্দেহে সুখকর বিষয়। কিন্তু যেসব প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন করোনা-পরবর্তী সময়ে তাদের কর্মস্থলে ফেরত পাঠাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
“একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বৈদেশিক শ্রমবাজার পুনরুদ্ধার ও নতুন বাজার অনুসন্ধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।” পাশাপাশি বাংলাদেশে ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭.১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে ২৭ জুলাই পর্যন্ত। বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
৩০ জুন, ২০২০-এ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬.০১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সেটাই ছিল সর্বোচ্চ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে তা পৌঁছেছে ৩৭.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ডে। ৩০ জুন, ২০১৯-এ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২.৭১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রবাসী - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আছিয়ার শেষ স্বীকারোক্তি: আছিয়া নিজে বলে গেছে ধ/র্ষণ করেছে কে (ভিডিওসহ)
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- শেয়ারবাজারে কারসাজি: বিএসইসি'র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে সামনে এলো গুরুত্বপূর্ণ নাম
- মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন নাম দিল আইসিসি
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- আছিয়ার ধ/র্ষক দুলাভাই কে নিয়ে তথ্য দিলেন তার শ্রেণী শিক্ষক মাহফুজ
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- দুই কোটি নয় মুস্তাফিজকে দলে নিতে কলকাতাকে গুনতে হবে ৬.৫ কোটি রুপি
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার (১৩ মার্চ ২০২৫)
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ সামান্য বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- বাংলাদেশে জনপ্রতি ফিতরার হার ঘোষণা