ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

এই মাত্র পাওয়াঃ রিমান্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সাহেদ-মাসুদ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুলাই ২৬ ১৯:৫৫:৫১
এই মাত্র পাওয়াঃ রিমান্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সাহেদ-মাসুদ

রোববার (২৬ জুলাই) ১০ দিনের রিমান্ড শেষে দুজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে র‌্যাব। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি সাহেদ ও মাসুদ পারভেজ রিমান্ডে থাকাকালে হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক মামলার ঘটনার বিষয় নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। ফলে মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও সহযোগী আসামিদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করতে সহায়ক হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে আসামিদের দেয়া তথ্যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক ও মামলার তদন্ত ব্যাহত হওয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ারসমূহ সম্ভাবনা আছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলার তদন্তকার্য সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।

অপরদিকে সাহেদ ও মাসুদের আইনজীবী এ মামলায় জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় তিন ও উত্তরা পূর্ব থানায় প্রতারণার এক মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাহেদকে ১০ দিন করে মোট ৪০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে মাসুদকে উত্তরা পশ্চিম থানায় দুই ও উত্তরা পূর্ব থানায় প্রতারণার এক মামলায় ১০ দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে চার মামলায় সাতদিন করে সাহেদের ২৮ দিন এবং তিন মামলায় মাসুদ পারভেজের সাতদিন করে ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে গত ১৬ জুলাই সাহেদ, মাসুদ ও তরিকুলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সাহেদ ও মাসুদের ১০ দিনের এবং তরিকুলের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জসিম।

করোনা চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতালের ভয়াবহ জালিয়াতি ধরা পড়ার পর গত ৮ জুলাই গ্রেফতার হন তরিকুল। ১০ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। মামলার ২ নম্বর আসামি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুর থেকে গত ১৪ জুলাই গ্রেফতার করা হয়।

গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‍্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে