ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সদ্য সংবাদ

সাবধান মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশী প্রবাসী, ভিসা থাকার পরও করা হচ্ছে গ্রেফতার

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুলাই ২৪ ২০:৫৪:৪৫
সাবধান মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশী প্রবাসী, ভিসা থাকার পরও করা হচ্ছে গ্রেফতার

গত ৩১মে লকডাউন চলাকালীন সময়ে কুয়ালালামপুর বাংসার এলাকা থেকে রাজিব-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নো-পাসপোর্ট একটি মামলা দেয় পুলিশ।একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজিব আহমেদ কুয়ালালামপুরস্থ ফয়েজ ক্লিনিং সার্ভিসেস এর মালিক ফয়েজ আহমেদের অধীনে ভিসা করেছেন।

পরে রাজিবের স্বজনরা পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তখন তাদেরকে জানানো হয় রাজীবের ভিসা ভূয়া, ইমিগ্রেশনে তার রেকর্ড নেই।ভূয়া ভিসা প্রদান ও রাজীব-কে ছাড়িয়ে আনতে অস্বীকার করায় বাংলাদেশি মালিক ফয়েজ এর বিরুদ্ধে রাজিবের স্বজনরা বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।তবে ফয়েজ ক্লিনিং এর মালিক ফয়েজ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন সে ছালা কিরজায়(ভুল কর্মক্ষেত্র) আটক হয়েছে ভূয়া ভিসায় নয়।

এ ঘটনায় মালয়েশিয়াস্থ সিলেটের বিভিন্ন কমিউনিট ও সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।এদিকে রাজিব আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে লিভারের সমস্যা থাকায় বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় যতদ্রুত সম্ভব তাকে মুক্ত করার আহবান জানিয়েছেন তার স্বজন সহ কমিউনিটি নেতারা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজিব আহমেদ বেশ কয়েক বছর আগে বৈধ ভিসায় চাকুরী নিয়ে মালয়েশিয়ায় আসেন। পরে ২০১৬ তে রিহায়ারিং প্রকল্পের মাধ্যমে পূনঃ বৈধ হয়েছিলেন। কিছুদিন পর বৈধ ভিসা নিয়েই দেশে ছুটি কাটিয়ে আবার মালয়েশিয়ায় ফিরে যান।

ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবার ভিসার ফি ফয়েজ উদ্দিনের কাছে জমা দিয়ে নবায়ন করে নেন। পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে নুতুন পাসপোর্ট রিনিউ করে তৃতীয় মেয়াদে ভিসার স্টিকার লাগান।এমতাবস্থায় গত ৩১ মে পুলিশের হাতে আটক হলে পুলিশ পাসপোর্ট ভিসা চেকের পর নো-পাসপোর্ট মামলা দিয়ে রাজিবকে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

এসময় রাজিব আহমেদ এর মালিক ফয়েজ উদ্দিনের সাথে তার স্বজনরা পাসপোট দিয়ে যোগাযোগ করলে ফয়েজ উদ্দিন প্রথমে তাকে ছাড়িয়ে আনতে রাজি হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন দেশে থাকা রাজিবের বাবা আঃ সোবহান।মালয়েশিয়াস্থ কমিউনিটি নেতা সৈয়দ এনামুল জানান, রাজিব আটক হওয়ার পর ফয়েজ উদ্দিনের কাছে পাসপোর্ট দিয়ে অনেক অনুরোধ করা হয়েছে তাকে ছাড়িয়ে আনার জন্য এবং ভিসা যদি বৈধ হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে রাজিবের কোম্পানির মালিক হিসেবে বিষয়টি সমাধান করার জন্য। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেননি এবং রাজিবের পাসপোর্ট ও ফিরিয়ে দেননি।

কমিউনিটির আরেক নেতা মোঃ আতিক বেলাল বলেন, যদি বৈধ ভিসা হয়ে থাকে তাহলে ফয়েজ কেনো পুলিশের কাছে যাচ্ছেন না? রাজিবের সাথে যাদেরকে পুলিশ আটক করেছে তাদের ভিসা বৈধ প্রমানিত হওয়ার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।আতিক বলেন, ভিসা ভুয়া বলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে নো-পাসপোর্ট মামলা দিয়ে আটকে রেখেছে।রাজিবের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বিধায় তাকে দ্রুত মুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে ফয়েজ ক্লিনিং সার্ভিসেস এর মালিক ফয়েজ এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আমার কোম্পানির ভিসা ভূয়া নয়, আপনি অনলাইনে চেক করে দেখতে পারেন এবং আমার কোম্পানির ভিসা ভূয়া হলে রাজিব ২ বছরে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে গিয়ে ছুটি কাটিয়ে আবার মালয়েশিয়া ফেরত আসতে পারতেন না।

রাজিব কে ছাড়িয়ে আনতে যাচ্ছেন না কেনো এ প্রশ্ন করলে ফয়েজ বলেন, রাজিব সার্ভিস সেক্টরের ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে রেস্টুরেন্টে কাজ করা অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। মালয়েশিয়ায় যাকে বলা হয় ছালা কিরজা (ভুল কর্মক্ষেত্র) তাই এটা আমার কোনো দোষ নয়।কিন্তু পুলিশ রাজিবকে ছালা কিরজার মামলা না দিয়ে নো-পাসপোর্ট মানে কোনো পাসপোর্ট নেই এই মর্মে মামলা দিয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি। অথচ ভিসা করার আগে ফয়েজ বলেছেন যেকোনো জায়গায় কাজ করা যাবে। পুলিশি সমস্যা হলে তিনি দেখবেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে