ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সৌদি আরব থেকে ফিরতে শুরু করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুলাই ১৮ ২২:২৯:৪৭
সৌদি আরব থেকে ফিরতে শুরু করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

এজন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সহায়তায় নিয়মিত বিশেষ ফ্লাইট আয়োজন করছে সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস।

কেবল জুলাইয়েই এ ধরনের ছয়টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান। আর এসব ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ২ হাজার ৪৮৭ জন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে জেদ্দা-ঢাকা রুটে এ পর্যন্ত দুটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে বিমান।

“প্রথম ফ্লাইটটি পরিচালিত হয় ১ জুলাই। ওই ফ্লাইটে জেদ্দা থেকে দেশে ফেরেন ৪১৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশি। আর জেদ্দা থেকে দ্বিতীয় ফ্লাইটটি পরিচালিত হয় গতকাল (শুক্রবার)। ওই ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন ৪০৯ জন।”

অন্যদিকে চলতি মাসে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে এ পর্যন্ত তিনটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান।

রিয়াদ থেকে গত ৩ জুলাইয়ের ফ্লাইটে আসেন ৪১৫ জন, ৯ জুলাইয়ের ফ্লাইটে ৪১৮ জন ও ১৬ জুলাইয়ের ফ্লাইটে আসেন ৪১৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশি। এছাড়া ১১ জুলাই সৌদি আরবের দাম্মাম থেকে পরিচালিত বিমানের ফ্লাইটে দেশে আসেন ৪১২ জন প্রবাসী বাংলাদেশি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গতকাল (১৭ জুলাই) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে জেদ্দা থেকে ঢাকায় আসা ৪০৯ জন বাংলাদেশিকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। ঢাকায় আসার পর বিমানবন্দরে সৌদিফেরত সব যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তবে তাদের কারো মধ্যে করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়নি। সব যাত্রীর কভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকায় তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে বলে বিমানবন্দর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানান, শুক্রবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সৌদি প্রবাসী ৪০৯ জন দেশে ফেরেন। সৌদি আরব থেকে করোনামুক্ত সার্টিফিকেট নিয়ে ভ্রমণ করেন ওই ফ্লাইটের যাত্রীরা।

জানা গেছে, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত মার্চ থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সৌদি আরবের রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মাম থেকে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জুন সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে প্রথম বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান। ওই ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে ফেরেন ৩৮৮ জন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি।

এর আগে গত ১১ মার্চ সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা দেশে ফিরতে ইচ্ছুক, তাদের ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে দূতাবাস। দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিরা আবেদন করলে তাদের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। তালিকায় গুরুতর অসুস্থ, ভিজিট ভিসায় এসে আটকে পড়া ও যারা চূড়ান্তভাবে দেশে ফিরে যেতে চান, তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত এপ্রিলের শেষে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয় আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে পাঁচ থেকে ১০ লাখ বাংলাদেশিকে পাঠিয়ে দেবে দেশটির সরকার। এক বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়, সৌদি আরবে প্রায় ২১ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন, অনেকেই জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে দেশে ফিরতে চান, অনেক অসুস্থ প্রবাসী রয়েছেন, অনেকে ভিজিট ভিসায় এসে দেশে ফিরে যেতে পারছেন না। সবার কথা ভেবে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে অভিবাসী বাংলাদেশিদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছে দূতাবাস।

এর আগে দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, করোনায় আক্রান্ত নন বা কোনো উপসর্গ নেই এ মর্মে সৌদি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট বিমানে প্রবেশের আগে প্রত্যেক যাত্রীকে অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ঢাকায় অবতরণের পর বিমানবন্দরে তা জমা দিতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত সংগনিরোধ সম্পর্কিত সব সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে