ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

কারনা ভাইরাসঃ ভ্যাকসিন তৈরিতে এখনও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুলাই ১৮ ২১:৪৮:৪২
কারনা ভাইরাসঃ ভ্যাকসিন তৈরিতে এখনও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ

২২২টির মধ্যে ১৭৩টির নমুনা সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল-বিসিএসআইআর। বাকিগুলো বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা করেছে বলে জানান মন্ত্রী।

নির্দিষ্ট রোগের জন্য কার্যকর ভ্যাকসিন বা ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য জিনোম সিকোয়েন্সিংকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াসেফ ওসমান। বিসিএসআইআর এর তথ্য অনুসারে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন বয়সীদের কাছ থেকে ১৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কোভিড ঊনিশের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অক্সফোর্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা। বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে করোনার প্রতিষেধক উদ্ভাবনে জিনোম সিকোয়েন্সির বিষয়টি তারা বিবেচনা করবে বলেও জানা গেছে।

বাংলাদেশের করোনাভাইরাস ৯৯.৯৯ শতাংশই ইউরোপের ভাইরাসের মতো বলে বিশ্লেষণে জানা গেছে। গেল ৩০ মে, তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর এর মাধ্যমেই অনেকটা স্পষ্ট হওয়া যায় কোভিড উনিশ ইউরোপ থেকেই বাংলাদেশে আসে।

বিসিএসআইআর এর তথ্যমতে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন বয়সী মানুষের কাছ থেকে ১৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ১৭ জুলাই পর্যন্ত আন্তর্জাতিক জিন ব্যাংকের রিপোট অনুসারে, এ পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৮’শ ৭৫টি জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ২২২ এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবদান ১৫৭৮।

SARS-CoV-2 এর জেনেটিক উপাদান হচ্ছে RNA বা Ribonucleic Acid। যার মধ্যে ভাইরাসের প্রয়োজনীয় সব জিন থাকে। মানুষের শরীরে প্রবেশের পর এই জিনগুলো থেকে প্রোটিন তৈরি হয়।

ভাইরাস দ্রুত বংশবিস্তার করে, তাই এর জিনোম সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে থাকে। জিনোম সিকোয়েন্স থেকে ভাইরাসের আদি উৎস সম্পর্কে জানা যায়। এক্ষেত্রে ভাইরাস যদি দ্রুত জেনেটিক উপাদান পরিবর্তন করে তাহলে ঔষধ কিংবা টিকা কার্যকর নাও হতে পারে। তাই কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে স্থায়ী এবং কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি এখন মূল চ্যালেঞ্জ। ভবিষ্যতে কোন অঞ্চলে ভাইরাসের প্রতিষেধক কাজ না করলে জিনোম থেকে এর কারণ বোঝার একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে