ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজঃ সাহেদের রিমান্ডের বিষয়ে মুখ খুললেন ডিবি

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুলাই ১৫ ২২:১৮:১৭
ব্রেকিং নিউজঃ সাহেদের রিমান্ডের বিষয়ে মুখ খুললেন ডিবি

পরে তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণার দায়ে সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে চাইবে ডিবি।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকালে সাহেদকে আদালতে তুলে এ রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে আজ বুধবার ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, রিজেন্টের প্রতারণার মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে। মামলার প্রধান আসামি রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। সাহেদকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে র‍্যাবের এডিজি অপারেশন কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে পুরাতন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জানান, ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তনের কারণে মোহাম্মদ শাহেদের কাছাকাছি কয়েকবার পৌঁছানো সম্ভব হলেও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।

তিনি বলেন, ‘গত ৯ দিন ধরে আমরা তাকে ফলো করেছি। কিন্তু তিনি ঘন ঘন জায়গা পরিবর্তন করছিলেন। এজন্য কয়েকবার আমরা তার খুব কাছাকাছি যাওয়ার পরও ধরতে পারিনি। এছাড়া সে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও ফেলে দিলেছিল। অবশেষে বুধবার ভোররাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

র‌্যাব আরো জানায়, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্টের মামলা সহ ৫৯ টি মামলা রয়েছে শাহেদের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে র‌্যাবের গাড়িবহরটি সদর দপ্তরে পৌঁছায়। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর থেকে এক গাড়িতে করে তাকে নিয়ে রওয়ানা দেয় র‌্যাব।

এর আগে, ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে নৌকায় পালিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ৬ জুলাই করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে র‍্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব।

মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে। এরপর থেকেই পালিয়ে ছিলেন সাহেদ। তাকে গ্রেফতারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় র‌্যাব। অবশেষে সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তারা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে