ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন করে ভয়াবাহ দুঃসংবাদ

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুলাই ১৪ ২১:৩৫:৫৮
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন করে ভয়াবাহ দুঃসংবাদ

এখন নতুন করে আবার বিপদে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রবাসী শ্রমিকদের উপর নির্যাতন নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম আল জাজিরায়।যা নিয়ে এখন মালয়েশিয়ায় তোলপাড় চলছে। তথ্যচিত্রটিতে সেখানকার প্রবাসীদের উপর নির্যাতনের চিত্র উঠে এসেছে।

দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থী রায়হান কবির সেখানে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এরপর থেকেই তাকে গ্রেফতারে মরিয়া দেশটির পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগ। তাকে না পেয়ে তার সঙ্গীদের আটকে রাখার অভিযোগও পাওয়া গেছে।মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা অন্তত দুই জন বাংলাদেশী শনিবার টেলিফোনে বলেছেন, চরম আতঙ্কে তাদের দিন কাটছে।রায়হান কবিরের তিনজন বন্ধুকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিলেও দুইজনকে এখনো ছাড়েনি।

রায়হান কবিরের সন্ধান দিতে তাদের উপর চাপ দেয়া হচ্ছে। শুধু রায়হান কবিরের বন্ধুদেরই নয়, তার পরিচিত বাংলাদেশীদেরও ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।হয়রানির ভয়ে টেলিফোনে কথা বলা ওই দুই জন নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

নির্যাতনের বর্ণণা দিলেন সোহেল

চার বছর মালয়েশিয়ায় থাকার পর কিছুদিন আগে দেশে ফিরেছেন নূর মোহাম্মদ আকন্দ সোহেল। দেশে ফেরার আগে তিনি সেখানে চার মাস বন্দি ছিলেন।আলাপকালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার বাসিন্দা সোহেল দেশটির ‘ডিটেনশন ক্যাম্পের’ বর্ণনা দেন।বলেন, আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবেদন করি। এরমধ্যেই অভিযানে আমাকে ধরে নিয়ে যায়। ক্যাম্পে কোনো দিন দুই বেলা, কোনো দিন এক বেলাও খাবার দিয়েছে। আমাদের অভিভাবক হাইকমিশনের কেউ কোনদিন খোঁজ নেয়নি। আমার মতো বহু বাংলাদেশী সেখানে ডিটেনশনে আছেন।

“আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না, এই আমলেও পৃথিবীতে এমন কোনো আইন আছে যে, এক-দেড়শ মানুষকে উলঙ্গ করে একসাথে দাঁড় করিয়ে কানধরে উঠবস করায়। মালয়েশিয়াতে সেটা করায়। সবচেয়ে বড় নির্যাতনের নাম রতান (বেত মারা)।“আমাদের দেশে গ্রামে গরুকে যেভাবে চার পা ও মুখ বেঁধে ইনজেকশন দেয়া হয় মালয়েশিয়ায় একইভাবে হাত পা বেধে রতান মারা হয়। তিন চার ফুট লম্বা, চিকন বেত দিয়ে পেছনে যখন আঘাত করে তখন চামড়া ছিড়ে ভেতরে ঢুকে যায়। পরে মাংসসহ উঠে আসে।সোহেলের দাবি এমন নির্যাতন বাংলাদেশীদের উপরই বেশি হয়। অন্য দেশের শ্রমিকদের উপর এত নির্যাতন করে না দেশটির কর্তৃপক্ষ।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে