ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

এবারের এশিয়া কাপ স্থগিত হওয়াই যে লাভ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুলাই ১১ ১৩:১৭:২১
এবারের এশিয়া কাপ স্থগিত হওয়াই যে লাভ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের

নানা নাটকীয়তার পর গতকাল এবারের এশিয়া কাপ ঘোষণা করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।

এসিসি’র নির্বাহী বোর্ডের মিটিং শেষে এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তবে এশিয়া কাপ পিছিয়ে যাওয়ায় অনেকটাই লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের অন্যতম হট ফেভারিট বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের বিগত কয়েকটি আসরে ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ দল।

এই বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের এবারের আসর। কিন্তু ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, দেশভিত্তিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যবাধকতা, স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়েছে এসিসি।

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই অনেক আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। এশিয়ার মধ্যে অনেক আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল। এছাড়াও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে বর্তমানে ইংল্যান্ড অবস্থান করছে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল।

বলতে গেলে এই তিন দল এখন খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাঠে নামতে পারেনি বাংলাদেশ এবং ভারত ক্রিকেট দল। প্রায় চার মাস ধরে ঘরে বসে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। আর এতেই হয়েছে মহা বিপত্তি। চার মাস বসে থাকার কারণে ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেটারদের নিয়ে।

অনেক ক্রিকেটার নিজের উদ্যোগে ফিটনেস ট্রেনিং করলেও তা ছিল অনেক সামান্য। এই মুহূর্তে ক্রিকেটারদের মাঠে ফিরতে হলে কমপক্ষে ২০-২৫ দিনের ফিটনেস ট্রেনিং করতেই হবে। এরপর ব্যাট-বলের অনুশীলন তো রয়েছেই। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরায় এবং এশিয়া কাপের মতো একটি বড় টুর্নামেন্টে খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য বেশকিছু অনুশীলন ম্যাচ খেলতে হবে ক্রিকেটারদের।

বিসিবি ধরোনা করছিল এশিয়া কাপ হলে আগামী আগস্ট এর প্রথম সপ্তাহ থেকে অনুশীলনের নামবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আর এতে বাংলাদেশের হাতে সময় থাকতো মাত্র এক মাসের মত। আর এই এক মাসের মধ্যে ফিটনেস ট্রেনিং, ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন এবং অনুশীলন ম্যাচ খেলার মতো সময় ছিল না।

অন্যদিকে এশিয়া কাপ খেলতে গেলে শ্রীলঙ্কায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হত ক্রিকেটারদের। এত অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করা একপ্রকার অসম্ভব ছিল। এদিক দিয়ে বিবেচনা করলে অন্যদের থেকে এশিয়া কাপ বাতিল হাওয়াই লাভবান বাংলাদেশ ই হয়েছে।

অন্যদিকে এশিয়া কাপ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হলে খেলতে পারতেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এই নিষেধাজ্ঞা আগে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন তিনি।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। আগামী বছরের জুন মাসেই আসর আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া আসন্ন আসরের আয়োজক দেশের ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এশিয়া কাপের আসন্ন আসরের আয়োজক স্বত্ব শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) হাতে তুলে দিয়েছে। ফলে ২০২১ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কা। তবে এর বদলে ২০২২ এশিয়া কাপের আয়োজক হবে পিসিবি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ