ঢাকা, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১

করোনা নিয়ে মালয়েশিয়া বিশাল সুখবর, লক্ষ্য এবার ধারাবাহিকতার

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুলাই ০২ ২৩:১১:৪২
করোনা নিয়ে মালয়েশিয়া বিশাল সুখবর, লক্ষ্য এবার ধারাবাহিকতার

স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের এমন কথার মূল কারণ ছিল, গতকাল (জুলাই ১) মালয়েশিয়ায় মাত্র ১ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। যা করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন।

তিনি আশা করেন, আগামী ২৮ দিন মালয়েশিয়ায় আর কোনো মানুষ কোভিড-১৯ রোগে সংক্রমিত হবেন না।

“আমাদের স্থানীয়ভাবে (অন্যান্য শহরে) করোনা রোগী শূন্য হওয়ার কারণে আজকের দিনটি দুর্দান্ত ভাবে শুরু হয়েছে। তবে আরও গুরুত্বপূর্ণটি হচ্ছে আগামী ২৮ দিনের জন্য শূন্য সংক্রমণ ধরে রাখা”- তিনি বলেন।

গতকাল একটি সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বলেছেন, আজ মালয়েশিয়ায় কোভিড-১৯ এ একজন আক্রান্ত হয়েছেন তিনি ২১ বছর বয়সী তুর্কি ফেরত এক মালয়েশিয়ান।

তিনি বলেন, জনসাধারণ যদি ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি’ (এসওপি) মেনে চলে তহলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগামী ২৮ দিনের জন্য করোনা সংক্রমণ শূন্য স্থানীয় ট্রান্সমিশন অর্জনে আত্মবিশ্বাসী।

‘রিকভারী মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার’ (আরএমসিও) বাড়ানো হবে অথবা তাড়াতাড়ি শেষ করা হবে, যেহেতু স্কুলগুলো ১৫ জুলাই পুনরায় চালু হবে জানতে চাইলে ডাঃ নূর হিশাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘আরএমসিও’র সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্য ছিল সমস্ত ক্ষেত্র বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা। তবে মন্ত্রণালয় স্কুলগুলোর উপর এবং কেউ আক্রান্ত হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি অব্যাহত রাখবে। যে কোনও প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেছিলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সকল উপায় ব্যবহার করবে এবং শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি উন্নতি করবে।

বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার পরে দ্বিতীয় কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা করতে অস্বীকার করা প্রায় ১ হাজার ৪শ’ ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এ সম্পর্কে ডঃ নূর হিশাম বলেন- মন্ত্রণালয় জড়িতদের চিহ্নিত করেছে এবং ট্রেসিং ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।

“এখন আমরা ট্রেসিং শুরু করবো, কেনো তারা হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য যায় নি। মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের সমস্ত তথ্য এবং অবস্থান জানা রয়েছে।”

“১৪ দিনের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারান্টাইন চলাকালীন সময় মন্ত্রণালয় সর্বদা তাদের সাথে যোগাযোগ করতো এবং তাদের দ্বিতীয়বারের মতো সোয়াব পরীক্ষা করানোর জন্য স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল” তিনি বলেছেন।

এদিকে, তিনি বলেছেন- স্বল্প সংক্রমণ হার সত্ত্বেও চিহ্নিত উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আমাদের নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে