ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রবাসে ফিরলেন ২৩০ বাংলাদেশি

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুন ২৫ ১৯:০৯:১২
লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রবাসে ফিরলেন ২৩০ বাংলাদেশি

বিমানে পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এবং আটকে পড়া প্রবাসীদের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় লিসবন হামবের্তো ডেলগাডা এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছেছেন।

মহামারীর সময় দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়, তাই প্রবাস থেকে পরিবার তথা আত্মীয়-স্বজনের মায়ায় ছুটে গিয়ে বাংলাদেশে আটকে পড়েছেন অনেকেই। অনেক সময় অতিবাহিত হলেও বিমান যোগাযোগ স্বাভাবিক না হওয়ায় তারা ফিরতে পারছিলেন না। ইতোমধ্যে অনেকের রেসিডেন্ট কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার উপক্রম বা অনেকর ভিসার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে।

আবার অনেকে স্ত্রী-সন্তান পর্তুগালে রেখে পারিবারিক কাজে দেশে গিয়েছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরিবার থেকে দূরে থেকে আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন। সঙ্গত কারণে এ সকল প্রবাসীদের ফেরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তবে ২৪ জুন স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সঠিক সময় তা ছেড়ে যেতে পারিনি।

কেননা লিসবন এয়ারপোর্টে ফ্লাইট নামার অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তবে বারবার সময় পরিবর্তন করে অবশেষে ২৫ জুন বাংলাদেশ সময় রাত ২.২০ মিনিটে বাংলাদেশের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থেকে লিসবনের উদ্দেশ্যে বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়। প্রবাসীরা বর্তমান পরিস্থিতিতে সারাদিনব্যাপী খুব কষ্টের মাঝে পার করে। তবে রাতের মধ্যেই বিমানে চড়ে ঢাকা ছাড়তে পেরে তাদের সব কষ্ট ধুয়ে মুছে যায়।

উক্ত অনুমোদনের বিষয়ে লিসবন বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ দূতাবাসের তৃতীয় সচিব এবং দুতালায় প্রধান আবদুল্লাহ আল রাজি জানান, এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য আমরা দুঃখিত। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি শুরুতেই আমরা পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কূটনৈতিকভাবে আবেদন করি এবং তারা তাদের ইমিগ্রেশনের নিকট উক্ত যাত্রীদের ভিসা এবং রেসিডেন্ট পারমিট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠায়।

সেখান থেকে সকল যাচাই-বাছাই হওয়ার পর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত সতর্কতা নিশ্চিত হওয়ার পর ফ্লাইট সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় অনুমোদন করে। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে সব দেশেই সাধারণ অফিস কার্যক্রম সীমিত আকারে পরিচালিত হচ্ছে। এ সকল প্রতিবন্ধকতার প্রেক্ষাপটে উক্ত অনুমোদন আসতে দেরি হয়।

তবে ২৩৬ জন প্রবাসী ফেরার কথা থাকলেও ৫ জন যাত্রী টিকেট ক্রয় করার পরেও তাদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে উক্ত বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়তে পারেনি। অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, অন্য এক যাত্রী ভিন্ন কারণে বিমানে উঠতে পারেননি।

প্রবাসী বাংলাদেশি যাত্রীদেরকে স্বাগত জানানোর জন্য পর্তুগালে বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী ও তার সহধর্মিণী, তৃতীয় সচিব ও দুতালায় প্রধান আবদুল্লাহ আল রাজি, দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারী, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং প্রবাসের বিভিন্ন সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব লিসবন এয়ারপোর্টে উপস্থিত ছিলেন।

সকল প্রতিকূলতার অবসান ঘটিয়ে পর্তুগালে ফিরতে পেরে বাংলাদেশের প্রবাসীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। তাদের মধ্যে উষ্ণ অনুভূতি লক্ষ্য করা গেছে। অন্যদিকে উপস্থিত সকল প্রবাসী ব্যক্তিবর্গ ঢাকা-লিসবন রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু করার বিষয়ে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স তথা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে