ঢাকা, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

শ্রমিকদের চাকরি বাঁচাতে যে পদক্ষেপ নিচ্ছে সিঙ্গাপুর সরকার

প্রবাসী ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুন ২৩ ২০:৫০:৫৯
শ্রমিকদের চাকরি বাঁচাতে যে পদক্ষেপ নিচ্ছে সিঙ্গাপুর সরকার

আর এসব পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজন বিশেষ জ্ঞান, গবেষণা ও উদ্ভাবন। যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।

মহামারীতে যেসব অমূল্য প্রাণ চলে গেছে, সেগুলো তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। কিন্তু অর্থনীতিতে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, সেটি তো পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। করোনা-উত্তর যুগে সে লক্ষ্যেই কাজ করবে সিঙ্গাপুর।

উদ্ভাবন খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করবে তারা। এমনকি করোনার প্রাথমিক ধাক্কা সামলানো ও অর্থনীতির পুনরুত্থানে সহায়তার পেছনে যা প্রণোদনা দিচ্ছে, তার চেয়েও বেশি বিনিয়োগ করা হবে করোনা-পরবর্তী সময়ে। খবর ব্লুমবার্গ।

গবেষণা ও উদ্ভাবনে সহায়তার জন্য ২ হাজার কোটি সিঙ্গাপুর ডলার (১ হাজার ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলার) বরাদ্দ রাখবে দেশটির সরকার।

এ তহবিল দিয়ে স্বাস্থ্য ও বায়োমেডিকেল সায়েন্স, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো খাতগুলোয় গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করা হবে।

সিঙ্গাপুরের উপপ্রধানমন্ত্রী হেং সুই কিট শনিবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে এ কথা বলেছেন। পঞ্চবার্ষিকী গবেষণা ও উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বিনিয়োগ করা হবে। বর্তমানে পরিকল্পনাটি চূড়ান্তকরণের কাজ চলছে।

হেং সুই সিঙ্গাপুরের অর্থমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বলেন, ‘করোনার প্রভাবে পতনমুখী অর্থনীতিকে বাঁচাতে সব দেশই তাত্ক্ষণিক সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছে। আমরাও দিয়েছি। কিন্তু আমরা এখানেই থেমে থাকব না। আমরা চাই সবাই যেন পূর্ণ শক্তিমত্তা নিয়ে ভালোভাবে ফিরে আসতে পারে। এ কারণে সবার মধ্যে সেই সক্ষমতা তৈরি করতে চাইছি আমরা। এ লক্ষ্যে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগও করবে সরকার। সিঙ্গাপুরে আমরা কখনই ভবিষ্যতের চিন্তা থেকে পিছু হটি না।’

করোনার কারণে ১৯৬৫ সালে স্বাধীন হওয়ার পর এবারই সবচেয়ে বড় সংকোচনের মুখোমুখি সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি। প্রথম প্রান্তিকে দেশটিতে কর্মসংস্থানও কমেছে রেকর্ড পরিমাণ। এ অবস্থায় ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সিঙ্গাপুর। বর্তমানে অর্থনীতির চাকা পুনরায় সচল করার প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে তারা।

হেং সুই জানান, দেশটির সরকারের জন্য এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি। সরকার এরই মধ্যে এক লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ব্যবসা খাতকে বাঁচানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যেন কোম্পানিগুলো যতদিন সম্ভব তাদের কর্মীদের ধরে রাখতে পারে।’

তিনি আরো জানান, এই প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুর সরকার স্বনির্ভর কর্মীদের বড় অংকের সরাসরি নগদ সহায়তা দিয়েছে।

সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি প্রায় পুরোপুরি বৈদেশিক বাণিজ্যনির্ভর। এ কারণে করোনার প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে মুক্ত করতে বাণিজ্য বাড়ানো ছাড়া দেশটির সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। হেং সুইও একথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সবকিছু বন্ধ রাখি তাহলে আমরা শেষ হয়ে যাব।’

টেলিভিশনে বক্তব্যে হেং সুই গবেষণা ছাড়াও অবকাঠামো খাতে সরকারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন ও খাদ্যনিরাপত্তা কার্যক্রমে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে সিঙ্গাপুর সরকার। এছাড়া রোবোটিকস, ই-কমার্স ও সাপ্লাই চেইন ডিজিটাইজেশনেও নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি করা হবে।

হেং সুই উল্লেখ করেন, এত বিরুদ্ধ সেতি সুইজারল্যান্ডের আইএমডি বিজনেস স্কুলের গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস র‌্যাংকিংয়েও তা প্রমাণ হয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে