ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যে কারনে গ্রামীনফোনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নল বিটিআরসি

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২০ জুন ২৩ ১২:৪৭:৫০
যে কারনে গ্রামীনফোনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নল বিটিআরসি

নতুন করে অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে বিদ্যমান সেবার ক্ষেত্রেও। এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে পহেলা জুলাই থেকেই। বিটিআরসির এমন সিদ্ধান্তকে গ্রাহক স্বার্থের পরিপন্থী বলছে গ্রামীণফোন।

দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর গেল মে মাসে গ্রাহকদের বিনামূল্যে ১০ কোটি মিনিট ফ্রি ও চিকিৎসকদের সাশ্রয়ীমূল্যে ইন্টারনেট দেয়ার ঘোষণা দেয় গ্রামীনফোন। এই ঘোষণার পর তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে বাজারের ভারসাম্য নষ্টের অভিযোগ এনে বিটিআরসিকে চিঠি দেয়, অন্য অপারেটররা।

অভিযোগ যাচাই বাছাইয়ের পর গেল রোববার গ্রামীণফোনের উপর বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত জানায় বিটিআরসি। এক চিঠিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, পূর্ব অনুমোদন ছাড়া গ্রামীণফোন নতুন কোন সেবা, প্যাকেজ বা অফার দিতে পারবে না। এমনকি বিদ্যমান সেবাও নতুন করে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে ৩১ আগস্টের মধ্যে। এছাড়া চাইলেই গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা তিন মাসের বদলে দুই মাস পার হলেই যেতে পারবেন নতুন অপারেটরে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ওদের বিভিন্ন প্যাকেজে তো ফাঁকি দেয়। আমরা বলেছি প্যাকেজ দিলে অনুমোদন দিতে হবে। ওরা অনুমোদন নিতে চায়নি। এই সিদ্ধান্ত ৬ মাস পর পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবে গ্রামীণফোন। এতে করে তাদের ক্ষতি হবে না বরং লাভই হবে।

বাজার নষ্টের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই তাদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জিপির। বিটিআরসির দেয়া চিঠি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে জিপি।

মুঠোফোন সেবায় একক আধিপত্য ভাঙতে ২০১৮ সালে এসএমপি নীতিমালা অনুমোদন করে বিটিআরসি। যেখানে ৪০ শতাংশের বেশি শেয়ার না রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রাহক সংখ্যায় গ্রামীণফোনের মার্কেট শেয়ার প্রায় ৪৬ শতাংশ।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে